রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং উজ্জ্বল বিশ্বাস। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল জোয়ারে ভেসেছিল গোটা বাংলা। সেই বিপুল জয়ের পর প্রথম সাংবাদিক সম্মেলনে এসে একটা আক্ষেপ প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর দমদম কেন্দ্রে তাঁর প্রথম সরকারের আইন ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের হার নিয়েই ছিল সেই আক্ষেপ। সে দিনই ঘোষণা করেছিলেন, সুযোগ মতো আবার জিতিয়ে এনে মন্ত্রী করবেন চন্দ্রিমাকে। তার বছরখানেক পর আজ, সোমবার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় আবার চলে এলেন চন্দ্রিমা। একই সঙ্গে এ দিন মন্ত্রিসভায় প্রত্যাবর্তন ঘটল উজ্জ্বল বিশ্বাসেরও। উজ্জ্বল ২০১৬-র ভোটে জিতে বিধানসভায় এলেও তখন তাঁকে মন্ত্রী করেননি মমতা।
আরও পড়ুন: অবাধে দাপিয়ে বেড়াল দুষ্কৃতী বাহিনী, সন্ত্রাস-হুমকি-তাণ্ডবের পুরভোট
সোমবার বেলা ১২টা ২০ মিনিটে রাজভবনে শপথ নিলেন চন্দ্রিমা এবং উজ্জ্বল৷ শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠি। গত কালই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন তিনি। সাইনাসজনিত কারণে গুরুতর অসুস্থ হয়ে এক সপ্তাহ দক্ষিণ কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন রাজ্যপাল।
প্রথম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ছিলেন আইন এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। এ বারও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন তিনি। সেই সঙ্গে ই-গভর্ন্যান্সে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী। উজ্জ্বল বিশ্বাস কারামন্ত্রকের দায়িত্ব পেলেন। এতদিন কারামন্ত্রী ছিলেন অবনী জোয়ারদার। আপাতত তাঁর হাতে কোনও দফতর রাখা হয়নি। রাজভবনের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চলতি মাসে মন্ত্রিসভায় আরও কিছু রদবদল হবে বলে এ দিন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দিল্লি থেকে ফিরে এসেই ছোট রদবদল করব৷’’ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী নিয়ে কাল দিল্লিতে তাঁর বৈঠক সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy