Advertisement
E-Paper

শিক্ষকের ‘কিল, চড় আর লাথিতে’ গুরুতর জখম প্রধানশিক্ষক হাসপাতালে! ফরাক্কার স্কুলে রক্তারক্তি

স্কুলে নতুন রুটিন তৈরি হয়েছে। কিন্তু অনেক শিক্ষকেরই সেই রুটিন পছন্দ হয়নি। তা নিয়ে বিবাদেই ঘরে ঢুকে প্রধানশিক্ষককে চড়-লাথি-ঘুষি মারার অভিযোগ উঠল স্কুলেরই আর এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:৩০
প্রধানশিক্ষক মহম্মদ মণিরুল ইসলাম।

প্রধানশিক্ষক মহম্মদ মণিরুল ইসলাম। —নিজস্ব চিত্র।

স্কুলে নতুন রুটিন তৈরি হয়েছে। কিন্তু অনেক শিক্ষকেরই সেই রুটিন পছন্দ হয়নি। তা নিয়ে বিবাদেই ঘরে ঢুকে প্রধানশিক্ষককে চড়-লাথি-ঘুষি মারার অভিযোগ উঠল স্কুলেরই আর এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদের নিউ ফরাক্কা হাই স্কুলের ঘটনা। স্কুল সূত্রে খবর, মারধরে জখম প্রধানশিক্ষককে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। যদিও শনিবার দুপুর পর্যন্ত থানায় লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি প্রধানশিক্ষক। তবে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তাঁরা স্কুলে গন্ডগোলের ঘটনার কথা জানতে পেরেছেন।

স্কুল সূত্রে খবর, শনিবার স্কুলের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক ছিল। সেখানেই প্রধানশিক্ষক মহম্মদ মণিরুল ইসলামকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। প্রধানশিক্ষকের বাঁ পা ভেঙে গিয়েছে। চোখ ছাড়াও তাঁর শরীরের নানা জায়গায় আঘাত লেগেছে। মণিরুল জানান, স্কুলের নতুন অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল দায়িত্বভার নেওয়ার পর তারা নতুন রুটিন তৈরি করেছে। কিন্তু সেই রুটিন নিয়ে ১২-১৩ জন শিক্ষকের অসুবিধা ছিল। তাঁরা সে কথা তাঁকে জানিয়েওছিলেন। তাঁদের লিখিত অভিযোগ হাতে পাওয়ার পর শুক্রবার নতুন রুটিন স্থগিতও করেন দেন তিনি। এর পর শনিবার স্কুলের কয়েক জন শিক্ষক ঘরে ঢুকে তাঁকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানশিক্ষক।

মণিরুল বলেন, ‘‘স্কুলে তারিফ হোসেন নামে এক শিক্ষক আছেন। তিনি এবং আরও তিন শিক্ষক ঘরে ঢুকে আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছিলেন। আমাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। গোটা ঘটনাটা ঘটছিল স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অরুন্ময় দাসের সামনে। আমি প্রতিবাদ করায় ওঁরা আমার উপর চড়াও হন। চড়-লাথি-ঘুষি ছাড়াও ভারী কিছু দিয়ে আমার পিঠে-বুকে-পায়ে মারা হয়।’’

প্রধানশিক্ষকের দাবি, ২০১৯ সালে স্কুলের প্রধানশিক্ষকের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর উপর নানা ভাবে চাপ দেওয়া হয়েছে, যাতে তিনি প্রধানশিক্ষকের পদ ছেড়ে দেন। তা না-হওয়ায় এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন মণিরুল। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, শনিবার বিকেলের মধ্যেই তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক তারিফ হোসেনের দাবি, প্রধানশিক্ষকই তাঁকে প্রথমে মারতে গিয়েছিলেন। তিনি কেবল আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘প্রধানশিক্ষকই প্রথমে আমাকে কলার ধরে মারধর করার চেষ্টা করেন। আমি কেবল আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছি। সেই সময় প্রধানশিক্ষক পড়ে যান। তাতেই উনি আহত হয়েছেন।’’

তাঁর উপস্থিতিতেই যে দুই শিক্ষকের মধ্যে ‘মারামারি’র ঘটনা ঘটেছে, তা স্বীকার করেছেন অরুন্ময়ও। তিনি বলেন, ‘‘একটি রুটিন নিয়ে গতকাল যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা সম্পূর্ণ অনভিপ্রেত। আমি দু’পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পারিনি।’’

farakka school
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy