Advertisement
E-Paper

ভরা মরসুমে চার্জশিট ঘিরে অশান্তির মেঘ

ভরা পর্যটনের মরসুম। দার্জিলিং তো বটেই পাহাড়ের আধ-চেনা শহর-বসতেও ভিড় করেছে পর্যটকেরা। শুক্রবার এই পর্যটক ভিড়েই মোর্চা প্রধানের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ হওয়ার খবরে অশান্তির ছায়া দেখছেন ট্যুর অপারেটররা। তাঁরা জানাচ্ছেন, পাহাড়ে এখন প্রায় ৪৫ হাজার পর্যটক রয়েছেন। সরকারি বাংলো থেকে বেসরকারি রির্সট—তিল ধারনের জায়গা নেই। দিনভর তো বটেই পড়ন্ত বিকেলেও ম্যাল কিংবা চক বাজার পর্যটকের ভিড়ে যেন কলকাতার ধর্মতলা কিংবা শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডের চেহারা নিয়েছে। আগামী অন্তত ১৫ দিন পাহাড়ের ‘সামার ভ্যাকেশনে’র মরসুম পুরোদমে চলবে বলে আশা করেছিলেন পযর্টন ব্যবসায়ীরা।

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৫ ০৩:২১

ভরা পর্যটনের মরসুম।

দার্জিলিং তো বটেই পাহাড়ের আধ-চেনা শহর-বসতেও ভিড় করেছে পর্যটকেরা।

শুক্রবার এই পর্যটক ভিড়েই মোর্চা প্রধানের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ হওয়ার খবরে অশান্তির ছায়া দেখছেন ট্যুর অপারেটররা।

তাঁরা জানাচ্ছেন, পাহাড়ে এখন প্রায় ৪৫ হাজার পর্যটক রয়েছেন। সরকারি বাংলো থেকে বেসরকারি রির্সট—তিল ধারনের জায়গা নেই। দিনভর তো বটেই পড়ন্ত বিকেলেও ম্যাল কিংবা চক বাজার পর্যটকের ভিড়ে যেন কলকাতার ধর্মতলা কিংবা শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোডের চেহারা নিয়েছে। আগামী অন্তত ১৫ দিন পাহাড়ের ‘সামার ভ্যাকেশনে’র মরসুম পুরোদমে চলবে বলে আশা করেছিলেন পযর্টন ব্যবসায়ীরা।

এই অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যায় মদন তামাঙ্গ হত্যা মামলায় চার্জশিট পেশ যেন, পাহাড়ের উচ্ছ্বল চেহারায় অশান্তির কুয়াশায় ছেয়েছে।

তবে মোর্চার নেতাদের একাংশ পর্যটন মহলকে আশ্বাস দিয়েছেন, বড় কোনও গন্ডগোল হবে না। তাঁরা জানিয়েছেন, হুটহাট পাহাড় অচল করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার রাস্তায় এখনই হাঁটবে না মোর্চা।

তবে পাল্টা মতও শোনা যাচ্ছে—মোর্চার অন্য একটি অংশ এখনই ফের আন্দোলনমুখী হতে চাইছে।

তবে, রাত পর্যন্ত পাহাড়ে মোর্চার সব শাখাকে জনজীবনে যাতে বিঘ্ন না হয় সে দিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বলে মোর্চা সূত্রের খবর। ‘ইস্টার্ন হিমালয়া ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের’ কার্যকরী সভাপতি সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘পর্যটনকে যে কোনও বনধের বাইরে রাখার ব্যাপারে অনেক নেতা আমাদের আগেই আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা নিশ্চিন্ত পাহাড়ে অচলাবস্থা হবে না। দুশ্চিন্তার কিছু নেই।’’

মোর্চা সূত্রের খবর, দলের একাংশ চার্জশিটের বিষয়টিকে রাজনৈতিক অ্যাখ্যা দিয়ে আন্দোলনের নামা উচিত বলেই রাত থেকেই দলের অন্দরে দাবি করতে শুরু করেছেন। তবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের একটা বড় অংশ এখনই রাস্তায় নামার পক্ষপাতী নন বলে তাঁদের জানিয়ে দেন। তাঁরা জানান, ভূমিকম্পের আতঙ্ক থিতিয়ে যাওয়ার পরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে পাহাড় পর্যটকের ভিড়ে জমজমাট। এসেছেন বহু বিদেশী পর্যটকও। এখন ফের বছর তিনেক আগের অবস্থা ফিরে এলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের রোষের মুখেও পড়তে হতে পারে মোর্চাকে। তার থেকে সমস্ত কিছু মেপে আইনের পথেই হাঁটাটাই ভাল বলে সাবধান করছেন মোর্চার একটা অংশ। মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরিও অভয় দিচ্ছেন, ‘‘আমাদের আইনজীবী সেলের সঙ্গে আলোচনা করছি। তার পরে আইনের পথে যাব। অন্য কিছু এখন ভাবা হচ্ছে না।’’

এরই মধ্যে রাতের মধ্যেই পাহাড় যাতে শান্ত থাকে, তা কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে দেখার অনুরোধ করেছে বলে ঘোষণা করেছে জিএনএলএফ। দলের সভাপতি মন ঘিসিঙ্গ বলেন, ‘‘পর্যটনের জন্যই গোটা বিশ্ব আমাদের চেনেন। তাকে কোনও ভাবেই বিরক্ত বা অশান্ত করতে দেওয়া যাবে না।’’

আবার যেমন গোর্খা লিগের সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ খাতি বলেছেন, ‘‘পুলিশ এবং সিবিআই-এর উচিৎ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা। পুরোটাই উচ্চ আদালতের বিষয়। আমরা গোটাই আইনি লড়াই লড়েছি। তবে মানুষের সমস্যা করে আন্দোলন-রাজনীতি করিনি। করবও না।’’

koushik chowdhury siliguri darjeeling tourism bimal gurung morcha
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy