আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানির সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের দাবি, সোমবার বিকেলে গৌতম আসেন নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়ে উভয়ের মধ্যে দীর্ঘ বৈঠক হয়। তবে এই বৈঠক নিয়ে প্রশাসনের তরফে কেউ মুখ খুলতে চাননি।
এ দিনই নবান্নে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পোর্টাল এবং পাড়া কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেখানে আদানি-মমতার বৈঠকের প্রসঙ্গ জানতে চাওয়া হলে মুখ্যসচিব বলেন, “এটা আজকের সাংবাদিক বৈঠকের বিষয় নয়।” তাই এ নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।
হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকে রাজ্যের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে আদানিদের। প্রশ্নের মুখে পড়ে তাজপুরে গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরির কাজ। কারণ আদানিরা সেই কাজের বরাত পেয়েছিল। তবে তার পরে বিষয়টির তেমন অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়নি। রাজ্যের গত ‘বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলনেও’ (বিজিবিএস) এও দেখা যায়নি আদানিদের। এমনকি, বেশ কিছুদিন আগে সেই বরাত বাতিল করে নতুন করে দরপত্র আহ্বানের বার্তাও দিয়েছিল নবান্ন। এই আবহে আদানি কর্ণধারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন আগে টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার এম চন্দ্রশেখরনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মমতা। তা ঘিরেও চর্চা তৈরি হয়েছিল প্রশাসনিক মহলে। যদিও সেই বৈঠক নিয়েও প্রশাসনের শীর্ষমহল ছিল নীরব। সেই বৈঠকের কথা তৃণমূল তার এক্স হ্যান্ডলে জানালেও, এ দিনের বৈঠক নিয়ে কোনও তথ্য কেউইদিতে চাননি।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ অবশ্য মনে করছেন, আদানিদের সঙ্গে বিজেপি তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। আগামী বছর বিধানসভা ভোট হবে এ রাজ্যে। তার আগে মমতার কাছে আদানির আসার ভিন্ন তাৎপর্য থাকতে পারে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)