ঠিক ছিল রথযাত্রার আগের দিন বৃহস্পতিবার দিঘায় যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সফরসূচির কিছু রদবদল করছেন। বৃহস্পতিবারের বদলে বুধবারই দিঘায় পৌঁছে যাবেন তিনি। এমনই খবর নবান্নে সূত্রে।
শুক্রবার রথযাত্রা। জগন্নাথদেবের মন্দির প্রতিষ্ঠার পরে দিঘায় প্রথম বার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রথযাত্রা উৎসব। সেই কারণে এ বার প্রথম থেকেই বাড়তি গুরুত্ব ও সতর্কতার উপর জোর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রথের সময় দিঘায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও সতর্ক তিনি। মনে করা হচ্ছে, রথযাত্রার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই কিছুটা আগেই দিঘায় পৌঁছে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। আয়োজনের উপর নজরদারি চালাবেন তিনি। তাঁর সঙ্গে দিঘায় যাবেন রাজ্যের আরও পাঁচ মন্ত্রী। তাঁদেরও নির্দিষ্ট দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে বলেই নবান্ন সূত্রে খবর। অনুমান করা হচ্ছে, এ বছর প্রায় দুই থেকে আড়াই লক্ষ ভক্ত রথযাত্রার সময় উপস্থিত হবেন দিঘায়। এই বিপুল জনসমাগম সামলাতে প্রশাসন, পুলিশ, দমকল ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কাজ করার নির্দেশ আগেই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে খবর, তাঁর নির্দেশমতো কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা চাক্ষুষ করতে চান তিনি। সেই সব বিষয়ই খতিয়ে দেখতে বুধবারই দিঘায় যাচ্ছেন মমতা।
চলতি বছর মহাকুম্ভে ভিড়ের চাপে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে তাই ‘ক্রাউড ম্যানেজমেন্ট’-এ বিশেষ নজর দিয়েছে রাজ্য সরকার। যান নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, নির্দিষ্ট সময়ে দড়ি টানার নির্দেশ, এবং সব রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সম্ভাব্য সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
২৭ জুন, শুক্রবার রশি টেনে রথযাত্রার সূচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে প্রথমে তাঁরই উপহার দেওয়া সোনার ঝাঁটা দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করে রশি টানবেন। দিঘার নতুন জগন্নাথ মন্দির থেকে পুরনো মন্দির, প্রায় এক কিলোমিটার পথ জুড়ে চলবে রথযাত্রা। জানা গিয়েছে, ভক্তদের সুবিধার্থে দড়ি ফেলে রাখা হবে পুরো রাস্তা জুড়ে। উদ্দেশ্য, ভক্তদের সকলে যাতে যোগ দিতে পারেন। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে শুধুমাত্র অলিম্পিয়ান ও সাধুসন্তেরা রথের সামনে থাকতে পারবেন।