Advertisement
E-Paper

মঙ্গলবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে আতশবাজি হাব তৈরির জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় ছাড়পত্র দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা

গত মার্চ মাসে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে আতশবাজি হাব গড়তে প্রশাসনিক স্তরে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক হয়েছিল।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২৫ ১২:০৩
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার পাথরপ্রতিমায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় চাপের মুখে পড়েছে রাজ্য সরকার। আর সেই আবহেই আগামী মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে আতশবাজি হাব তৈরির বিষয়ে জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় ছাড়পত্র দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্ন সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকেলে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই এই সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেবে মন্ত্রিসভা। গত বছর আতশবাজি হাব তৈরির জন্য জেলাগুলিকে জমি চিহ্নিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই নির্দেশ পাওয়ার পর পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর চব্বিশ পরগনা এবং দার্জিলিঙের মতো জেলায় জমি চিহ্নিত করার কাজ করেছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর। এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট নবান্নেও জমা পড়েছিল বলেই সূত্রের খবর।

গত মার্চ মাসে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের নেতৃত্বে আতশবাজি হাব গড়তে প্রশাসনিক স্তরে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেই সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক হয়েছিল। তার পরেই এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আতশবাজি হাবের জন্য বরাদ্দ জমি রাজস্ব দফতর জেলা প্রশাসনকে হস্তান্তর করার প্রক্রিয়ার বিষয়টি মন্ত্রিসভার বৈঠকে পেশ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। আর এপ্রিলে প্রথম সপ্তাহেই পাথরপ্রতিমায় ঘটে যায় বেআইনি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, ফলে চাপে পড়ে প্রশাসন। কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, পাথরপ্রতিমার বিস্ফোরণের সঙ্গে আতশবাজি হাবের জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় সিলমোহর দিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা পেশ হওয়ার কোনও যোগাযোগ নেই। গত এক বছর ধরেই এই প্রক্রিয়া চলছিল।

সূত্রের খবর দার্জিলিঙের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার হাবড়ায় ভূমি রাজস্ব দফতরের হাতে থাকা জমি আতশবাজি হাবের জন্য তুলে দেওয়া হবে জেলা প্রশাসনের হাতে। প্রতিটি জেলায় আতশবাজি হাব গড়তে রাজ্য সরকার খরচ করবে প্রায় ১৮৫ কোটি টাকা। তৈরি করা হবে ৫০০টি আতশবাজির স্থায়ী দোকান, যেখানে সহজেই আতশবাজি কেনাবেচা করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। এই হাবগুলি চালু হয়ে গেলে রাজ্যে বেআইনি আতশবাজির ব্যবসা অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করছে নবান্ন। এ প্রসঙ্গে সারা বাংলা আতশবাজি ব্যবসায়ী সমিতির নেতা বাবলা রায় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার আতশবাজি ব্যবসায়ীদের জন্য হাব তৈরি করলে আমাদের দীর্ঘ দিনের লড়াই সফল হবে। মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই, আতশবাজি ব্যবসায়ীদের ঝুঁকি নিয়েই এই ধরনের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয়। সরকারি উদ্যোগে হাব তৈরি হয়ে গেলে সেই ঝুঁকি খানিকটা হলেও কমে যাবে বলে আমরা মনে করছি। জমি হস্তান্তরের পর যেন আতশবাজি হাব তৈরির বিষয়টি দ্রুত গতি পায় সেই বিষয়েও আমাদের নজর থাকবে।’’

Fireworks Firecracker
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy