মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
বিজয়ার আগেই ফের এক বার ‘প্রকাশ্যে’ চলে এল মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা-বার্তা! সেই নিয়ে বাধল বিতর্ক এবং চাপানউতোর। বিরোধীরা এই নিয়ে কটাক্ষ করছে। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য চিঠির ‘সত্যতা’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
এর আগেও বিজয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা-চিঠি প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। সেই সময়ে যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছিল। এ বারেও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লেটার হেডে মুখ্যমন্ত্রীর সই করা একটি বিজয়ার শুভেচ্ছা-বার্তা সমাজমাধ্যমে বেরিয়েছে। যা পোস্ট করে প্রশ্ন তুলেছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী ও বিজেপির বিধায়ক মিহির গোস্বামী। ‘শুভেচ্ছা’র চিঠি এক্স হ্যান্ড্লে পোস্ট করে সুজনের মন্তব্য, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে হতে বিজয়ার শুভেচ্ছা-পত্রও ফাঁস! বোধনের আগেই বিসর্জন-বিজয়ার শুভেচ্ছা! অভিনন্দন বদল করে যখন শুভনন্দন হয়ে যায়, তখন শারদীয়ার শুভেচ্ছার আগেই বিজয়ার শুভেচ্ছা হয়তো হতেই পারে! পিসি-পক্ষে সবই সম্ভব’! তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ অবশ্য বলেছেন, ‘‘ভুয়ো চিঠি কি না, দেখতে হবে। তবে ছুটি থাকলে সরকার এ ভাবেই সব কাজের প্রস্তুতি রাখে। এ ক্ষেত্রেও সেই রকম কিছু হতে পারে।’’
ওই চিঠি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির লিখেছেন, ‘দুর্গাপুজোর শুরুর আগেই বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা পাঠিয়ে দিয়েছেন মমতা। মায়ের সঙ্গে নিজের বিসর্জনের ঘণ্টাও আগাম বাজিয়ে রাখলেন আমাদের ‘কম্পার্টমেন্টাল’ মুখ্যমন্ত্রী’। পাল্টা প্রশ্ন তুলে তৃণমূলের নেতা পার্থপ্রতিম রায় বলেছেন, “বিজেপি বিধায়ক আগে স্পষ্ট করুন, ওই চিঠি কোথা থেকে পেয়েছেন। পুজোর আগে অস্থিরতা তৈরি করার জন্য ‘সুপার ইম্পোজ়’ করে ওই চিঠি বাইরে আনা হয়েছে।” বিজেপি বিধায়কের জবাব, “আমি তো ওই চিঠি সমাজমাধ্যমে দিয়েছি। ক্ষমতা থাকলে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করুন। আমাকে এক জন ভাইপো, আর এক জন ভাগ্নে ওই চিঠি দিয়েছেন!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy