E-Paper

বিদেশিনি স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব: পাসপোর্ট বিপাকে সন্তান

কোর্টের খবর, মামলাকারীর সঙ্গে রুশ মহিলার পরিচয় চিনে। বিয়ে করে দিল্লিতে ছিলেন। সন্তানের জন্ম দিল্লিতে। পরে চন্দননগরের বাড়িতে চলে আসেন। অভিযোগ, কাউকে কিছু না জানিয়েই স্ত্রী হঠাৎ মায়ের সঙ্গে দিল্লি চলে যান।

সব্যসাচী ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:২০

— প্রতীকী চিত্র।

বাবা ভারতীয়, মা রাশিয়ান। দু’জনের দাম্পত্য বিবাদে চার বছরের সন্তানের হেফাজতের অধিকার নিয়ে মামলা পৌঁছেছে শীর্ষ কোর্টে। এ দিকে, শিশুটি রুশ নাগরিক বলে পাসপোর্ট দফতর তার ভারতীয় পাসপোর্ট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার বিরোধিতায় তার বাবা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ।

মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য, উদয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়, শুভাশিস ভৌমিকের যুক্তি, এই মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সন্তান রোজ বাবা-মা, দু’জনের সান্নিধ্য পাবে বলে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ কোর্ট। পাসপোর্ট প্রত্যাহার হলে শীর্ষ কোর্টের মামলা ও নির্দেশের গুরুত্ব থাকবে না। পাল্টা কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল অশোককুমার চক্রবর্তীর যুক্তি, পাসপোর্ট দফতর আইন মেনে পদক্ষেপ করেছে। বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশ, শীর্ষ কোর্টের মামলা ও নির্দেশ লঙ্ঘিত না হয় মতো করেই পাসপোর্ট দফতর যেন সিদ্ধান্ত নেয়।

কোর্টের খবর, মামলাকারীর সঙ্গে রুশ মহিলার পরিচয় চিনে। বিয়ে করে দিল্লিতে ছিলেন। সন্তানের জন্ম দিল্লিতে। পরে চন্দননগরের বাড়িতে চলে আসেন। অভিযোগ, কাউকে কিছু না জানিয়েই স্ত্রী হঠাৎ মায়ের সঙ্গে দিল্লি চলে যান। সন্তানের হেফাজত পেতে শীর্ষ কোর্টের দ্বারস্থ হন। মামলাকারীর আইনজীবীরা জানান, মধ্যস্থতার জন্য পাঠানোর সঙ্গেই সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, সন্তান বাবার কাছে থাকবে ও মা প্রতিদিন বিকেলে চার ঘণ্টার জন্য তাকে কাছে পাবেন। এর মধ্যেই ওই মহিলা ‘প্রভাব’ খাটিয়ে সন্তানের রুশ নাগরিকত্ব হাসিল করায় পাসপোর্ট সংক্রান্ত জটিলতা বলে দাবি। তবে শীর্ষ কোর্টের মামলায় পাসপোর্ট এবং নাগরিকত্বের কোনও উল্লেখ নেই বলে মামলাকারীর আইনজীবীরা জানান।

হাই কোর্টে মামলাকারীর দাবি, তাঁর সন্তানের পাসপোর্ট ২০২৬ সাল পর্যন্ত বৈধ ছিল। কিন্তু ২০২৪ সালেই পাসপোর্ট কেন প্রত্যাহার করা হবে না, সেই কারণ দর্শানোর চিঠি ধরানো হয়। সূত্রের দাবি, ২০২৪-এ শিশুটি রুশ নাগরিক ঘোষিত হয় এবং ভারতে দ্বৈত নাগরিকত্ব স্বীকৃত না হওয়ায় পাসপোর্ট প্রত্যাহারের চিঠি ধরানো হয়েছিল।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Passport Issue Calcutta High Court Family separation

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy