Advertisement
E-Paper

পাক নিয়ন্ত্রিত লটারি প্রতারণায় পার্ক সার্কাস থেকে সিআইডির জালে আরও এক পাণ্ডা

প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, শুধু মালয়েশিয়া বা দুবাই নয়, বাংলাদেশ হয়েও হাওয়ালা পথে প্রতারণার টাকা পৌঁছেছে পাকিস্তানে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৯ ২১:০১
—প্রতীকী ছবি।

—প্রতীকী ছবি।

পাকিস্তানে বসে এ রাজ্যে লটারির নামে প্রতারণা চক্র চালানোর অভিযোগে ফারহান খান নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করল সিআইডি। ২৮ বছরের ফারহান আদতে বিহারের সিওয়ানের বাসিন্দা। কিন্তু সে গত বেশ কয়েক মাস ধরে পার্ক সার্কাস এলাকাতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিল। সোমবার তাকে সেই ভাড়া বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা।

ফারহানের দায়িত্ব ছিল বিভিন্ন এজেন্ট নিয়োগ করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলানো এবং সেখানে প্রতারিতদের টাকা ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সেই টাকা তুলে অন্য জায়গায় নগদে পাচার করা। ইতিমধ্যেই সিআইডির গোয়েন্দারা ১০টির বেশি এ রকম অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছেন।

অন্যদিকে, ধৃত প্রাণ ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের দুই কর্তা রাজেশ ঘোষ এবং বিধান কীর্তনীয়াকে জেরা করে হাওয়ালা রুটের বেশ কিছু তথ্যের হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। ডিআইজি সিআইডি(অপারেশনস) নিশাত পারভেজ বলেন,“প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, বিধান এবং রাজেশের কাছে প্রতারণার টাকা জমা পড়ত।” এক সিআইডি কর্তা বলেন, ‘‘ধৃতরা দাবি করেছে যে, ওই টাকা তারা কোম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা দিয়েছে। যদিও আমরা প্রাণ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা পরিষ্কার জানিয়েছেন যে, ওই টাকা কোনও ভাবে তাঁদের কোম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা পড়েনি।’’ সিআইডি আধিকারিকরা যদিও কোম্পানির তহবিল এবং অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখছেন।

আরও পড়ুন: লটারির নামে প্রতারণা, রাজ্য থেকে হাওয়ালাতে টাকা যাচ্ছে পাকিস্তানে, ধৃত দুই শিল্পকর্তা​

আরও পড়ুন: বড় ধাক্কা প্রদেশ কংগ্রেসে, তৃণমূলে যোগ দিলেন উত্তর মালদহের সাংসদ মৌসম নূর​

প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, শুধু মালয়েশিয়া বা দুবাই নয়, বাংলাদেশ হয়েও হাওয়ালা পথে প্রতারণার টাকা পৌঁছেছে পাকিস্তানে। কারণ সরাসরি হাওয়ালা পথে পাকিস্তানে টাকা পাঠানোর ঝুঁকি অনেক বেশি। নদরদারি অনেক বেশি সেখানে। তাই অন্য দেশ ঘুরে টাকা পাঠাতো এরা।

প্রাণ কর্তৃপক্ষ গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ মাধ্যমেও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, ওই দুই ব্যক্তির কার্যকলাপের সঙ্গে সংস্থার কোনও যোগ নেই। ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, কৌন বনেগা ক্রোড়পতির মতো জনপ্রিয় শো-এর নাম করে লটারি জেতার টোপ দিয়ে রেকর্ডেড অডিও মেসেজ পাঠানো হত হোয়াটস্অ্যাপে। সেখানে তাঁদের নির্দিষ্ট নম্বর দেওয়া হত হোয়াটসঅ্যাপ করে জবাব দিতে। সেখানেই প্রতারিতদের দেওয়া হত অ্যাকাউন্ট নম্বর। তদন্তকারীদের দাবি, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এই প্রতারণা চক্র চালাচ্ছে এই পাকিস্তানি গ্যাং। তবে গ্যাংয়ের পিছনে কারা তা নিয়ে ধন্ধে গোয়েন্দারা।

Crime Fraud CID West Bengal Pakistan Bangladesh pran beverages
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy