ছবি: সংগৃহীত
বসিরহাটের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্যকে সোমবার ভবানী ভবনে জি়জ্ঞাসাবাদ করল সিআইডি। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগে তদন্তকারী সংস্থা ইতিমধ্যেই স্থানীয় এক বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, ওই এলাকার বহু গরিব মানুষের কাছ থেকে বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার অছিলায় ফরম ছাপিয়ে টাকা তুলেছেন ওই ব্যক্তি। তাঁর সঙ্গে দলের জেলা ও রাজ্যস্তরের আরও কিছু নেতাও জড়িয়ে রয়েছেন বলে সিআইডি জেনেছে। স্থানীয় থানায় এ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ার পরই তা নিয়ে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। সেই সূত্রেই এ দিন রাজ্য বিজেপির পরিচিত মুখ শমীককে ডেকে পাঠিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা।
জেরা পর্বের পর বেরিয়ে শমীক জানান, যে অফিস থেকে এই কর্মকাণ্ড হয়েছে সেটা এক সময় তাঁর বিধায়ক অফিস ছিল। সে বিষয়ে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এই কাণ্ড যখন হয়েছে বলে অভিযোগ, সে সময় তিনি বিধায়ক ছিলেন না। দলের কেউ এ সবের সঙ্গে জড়িত নন। দলকে জানিয়ে এ সব হয়ওনি। শমীকের বক্তব্য, ‘‘তদন্তকারী সংস্থা জানতে চেয়েছিল এ সব আমার জানা ছিল না কি না। আমি উল্টে তাদেরই বলেছি জানা থাকলে আমার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিন।’’
সিআইডি অবশ্য জানিয়েছে, গরিব মানুষকে বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার নামে দলের একাংশ যে টাকা তুলছে, তা নিয়ে রাজ্য দফতরে অভিযোগ জমা পড়েছিল। কিন্তু রাজ্য নেতারা তা বন্ধ না করে অভিযুক্তদেরই সমর্থন করেন। যে সব নেতা ওই কাজে মদত দিয়েছিলেন, তাঁদের নাম সিআইডি জোগাড় করেছে। এক কর্তার কথায়, ‘‘দলের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য নেতা এ সবের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদেরও ডাকা হবে। প্রয়োজনে গ্রেফতার করা হবে।’’ শমীককেও আবার ডাকা হতে পারে বলে জানান ওই কর্তা।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ দিন অবশ্য বলেন, ‘‘পার্টি অফিস থেকে কিছু হয়নি। যা হয়েছে বিধায়ক অফিস থেকে। সিআইডি কী করতে চায়, তা বুঝেই দল সিদ্ধান্ত নেবে। দলের কেউ এ সবের সঙ্গে জড়িত নয় বলেই আমার বিশ্বাস।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy