নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুরু হল রাজ্যে খেলাধুলো ও ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠান। সোমবারের এই অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের খেলাশ্রী প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন ক্লাবের হাতে আর্থিক অনুদান তুলে দেন। মমতা ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পূর্ত এবং যুবকল্যাণ তথা ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রীর এই অনুষ্ঠানে ‘খেলসম্মান’ প্রদান করা হয় মেহুলি ঘোষ, আতার আলি, হিমাশ্রী রায়-সহ একাধিক ক্রীড়াবিদকে। চলতি বছরে বাংলার গৌরব সম্মানের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন দুলাল বিশ্বাস, মান্তু ঘোষেরা। ক্রীড়া গুরু সম্মাননা পাচ্ছেন স্মিতা চট্টোপাধ্যায়, তরুণ সাহা-সহ বহু ক্রীড়াবিদ। অন্য দিকে, রাজ্য সরকারের তরফে বীরবাহাদুর ছেত্রীকে জীবনকৃতি সম্মানে ভূষিত করা হয়। এই অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এক নজরে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য:
- ৩৪টি ক্রীড়া সংস্থাকে অনুদান দিয়েছে রাজ্য
- হকিরা অ্যাস্ট্রোটার্ফের জন্য ২০ কোটির অনুদান।
- কেন্দ্র বাংলাকে কিছুই দেয়নি।
- বাংলায় ৪০ শতাংশ দারিদ্র কমেছে।
- রাজ্য় জুড়ে ৫৩টি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন।
- আপদেবিপদে মানুষের পাশে দাঁড়ায় ক্লাবগুলি।
- ক্লাবকে সাহায্য করলে অনেকের রাগ হয়।
- ক্লাবকে সাহায্য করলে রাগ হয় কেন?
- ৭২ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন।
- আগামী ৫ বছরে আরও দেড় কোটি কর্মসংস্থান।
- বাংলাই সারা বিশ্বের গন্তব্যস্থল।
- বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় দরজা বাংলা।
রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, এই অনুষ্ঠানে ক্লাবগুলির তরফে সর্বোচ্চ ৪ জন কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন। প্রসঙ্গত, ২০১১-’১২ অর্থবর্ষ থেকে চালু হওয়া এই প্রকল্পের আওতায় খেলাধুলোর সার্বিক মানোন্নয়ন এবং ক্লাবগুলিকে ক্রীড়া সরঞ্জাম কেনার জন্যআর্থিক অনুদান দেয় রাজ্য সরকার।