মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
তৃণমূলের আগামী প্রজন্ম নিয়ে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি কারও নাম করেননি। বুধবার মমতা বলেন, ‘‘আমি চির কাল থাকব না, তাই নতুন প্রজন্ম তৈরি করে দিয়ে যাচ্ছি।’’ মমতার মন্তব্যের পরেই জল্পনা শুরু হয়েছে, তা হলে কি মুখ্যমন্ত্রী অভিষেকের কথা বলতে চাইলেন?
একুশের নীলবাড়ির লড়াইয়ে অভিষেকের ভূমিকা ছিল সেনাপতির। দলনেত্রীর হয়ে রাজ্যের প্রায় প্রতিটি কোণে জনসভা থেকে শুরু করে, বিরোধী বিজেপিকে আক্রমণের মূল জোয়ালটি ছিল তাঁরই কাঁধে। ভোটে বিজেপিকে উড়িয়ে দেওয়ার পর আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে বসানো হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই সময় থেকেই জল্পনা ছিল, মমতা কি অভিষেককেই আগামীর দায়িত্ব সঁপে দিতে চলেছেন? তার পর বছর ঘুরে গিয়েছে। অভিষেকের ‘অভিষেক’ নিয়ে এত দিন বিশেষ খোলসা করে কিছুই বলেননি মমতা। যদিও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কাজের বিস্তৃতি দেখে তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। দলনেত্রী নিজে সে কথা বললে, তার তাৎপর্য যে বিপুল, তা অবশ্য মানছেন তাঁরা। বুধবার, নবান্ন থেকে সেই বিষয়েই কি স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন মমতা? তিনি বলেন, ‘‘আমি চির কাল থাকব না। তাই নতুন প্রজন্ম তৈরি করে দিয়ে যাচ্ছি।’’
গত শুক্রবার আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ অনুষ্ঠান ‘অ-জানাকথা’য় এসে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানিয়েছিলেন, মমতা তৃণমূলে একাধিক প্রজন্ম তৈরি করে দিচ্ছেন। তরুণ প্রজন্মের সেনাপতি অভিষেক। তাঁর দাবি ছিল, সিপিএমে তরুণ নেতৃত্ব তুলে আনার প্রক্রিয়া ছিল না বলেই দল ক্ষমতা হারানোর পর নতুন প্রজন্মের নেতাদের আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। কুণালের কথায়, ‘‘বিজেপি ডাবল ইঞ্জিন দেখাবে বলেছিল, আমরা ডাবল ইঞ্জিন করে দেখালাম। মমতা বনাম অভিষেক নয়, বরং মমতা এবং অভিষেক।’’ তৃণমূল নেতাদের একটি বড় অংশ অবশ্য আগে থেকে এ ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন যে, অভিষেকই আগামীর নেতা। দলনেত্রীর বুধবারের এই মন্তব্য তাঁদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy