Advertisement
E-Paper

Mamata Banerjee: সাত হাজার ফুট থেকে হঠাৎ দু’হাজার ফুটে নেমে এল বিমান! কোমরে ব্যথা পেলেন মমতা

এ দিন যে বিমানটিতে তিনি চড়েছিলেন, নির্দিষ্ট ভাবে সেই বিমানটিতে তিনি এর আগে সফর করেননি। ঘটনাচক্রে বিমানের দুই পাইলট ছিলেন বাবা ও মেয়ে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২২ ০৫:৩৪
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

মাঝ আকাশে হঠাৎ দুর্বিপাকে পড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিমান। শুক্রবার বারাণসী থেকে ফেরার সময় কলকাতায় নামার অল্প আগে এই ঘটনা। আকস্মিক এই দুর্যোগে এক লহমায় মুখ্যমন্ত্রীর ছোট বেসরকারি ভাড়া নেওয়া বিমানটি সাত হাজার ফুট থেকে দু’হাজার ফুটে নেমে আসে। সেই সঙ্গে টালমাটালও করতে থাকে। ঘটনায় মমতার কোমরে জোর ব্যথা লাগে। আগে থেকেই তাঁর কোমরে ব্যথা ছিল। ফলে কষ্ট বাড়ে।

রাজ্য সরকারের ভাড়া করা ফ্যালকন বিমানে ইদানীং প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী যাতায়াত করেন। তবে এ দিন যে বিমানটিতে তিনি চড়েছিলেন, নির্দিষ্ট ভাবে সেই বিমানটিতে তিনি এর আগে সফর করেননি। ঘটনাচক্রে বিমানের দুই পাইলট ছিলেন বাবা ও মেয়ে। দুর্যোগ কাটার মিনিট চারেক পরে মুখ্যমন্ত্রীর বিমানটি কলকাতার মাটি ছোঁয়।

এ দিন আকাশ ছিল যথেষ্ট পরিষ্কার। মেঘ, বৃষ্টি, ঝড় ছিল না। তবে বিমানবন্দর সূত্রের খবর, বিমানটি আচমকা একটি ঝঞ্ঝার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দেখে পাইলট অত্যন্ত দ্রুততায় উচ্চতা প্রায় পাঁচ হাজার ফুট নামিয়ে দেন। তাতেই প্রবল ঝাঁকুনি ও উথালপাথাল। বিমানের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সহযাত্রীরা অবশ্য জানতে পেরেছিলেন, তাঁদের বিমানের সামনে অন্য একটি বড় বিমান এসে পড়ে। সেটিই হল বিপত্তির কারণ।

নবান্নের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বিমানের ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে এবং কেন হয়েছে, তা জানতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। যদি তাঁর বিমানের সামনে অন্য কোনও বিমান এসেই থাকে, তা হলে বিষয়টি যথেষ্ট গুরুতর বলে নবান্নের একটি সূত্রের বক্তব্য। আর যদি ঝঞ্ঝার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিমানের উচ্চতা আচমকা কমিয়ে দিতে হয়, তা হলেও তার সব খুঁটিনাটি জানতে উদ্যোগী হবে নবান্ন।

সাধারণত এই ধরনের অভিযোগ উঠলে দেশের আকাশের বিমান চলাচলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) তদন্ত করে। সে ক্ষেত্রে বিমান মাটি ছোঁয়ার পরে পাইলট লিখিত যে রিপোর্ট জমা দেন তা গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে গণ্য করা হয়। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, এ দিনও পাইলট রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ৫০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিম আকাশে যখন সাত হাজার ফুট উচ্চতা থেকে ছ’হাজার ফুটে নামছিলেন, আচমকাই সামনে ঝঞ্ঝাপূর্ণ মেঘ দেখতে পান। সে কথা তিনি কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-কে জানান। এটিসি তাঁকে দু’হাজার ফুট উচ্চতায় নেমে আসতে বলে। তিনি সেই মতো নেমে আসেন। বিমানবন্দরের একটি সূত্র জানিয়েছে, পাইলটের রিপোর্টের ভিত্তিতে তদন্তে নামবে ডিজিসিএ। তবে পাইলটের রিপোর্টে দ্বিতীয় কোনও বিমানের অস্তিত্ব ছিল কি না, তা জানা যায়নি।

Mamata Banerjee airport flight
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy