প্রতীকী ছবি।
টাকা কয়লার এবং সেই টাকায় নাকি দু'একজন যুব নেতা বিদেশি গাড়ি কিনেছিলেন বলে এক বেসরকারি হাসপাতাল মালিক 'জানিয়েছেন' — দাবি সিবিআইয়ের।
সিবিআইয়ের আরও দাবি, দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের অন্যতম কর্ণধারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল। দু’বার জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের পরে হাসপাতালের অন্যতম ওই ডিরেক্টর সিবিআইয়ের কাছে তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করান। সিবিআই জানিয়েছে, ওই হাসপাতালটিরই অন্যতম ডিরেক্টর বিনয় মিশ্র। সিবিআইয়ের অভিযোগ, যুব তৃণমূলের এই নেতা, কয়লা ও গরু পাচারে অন্যতম 'চক্রী'ও আপাতত পলাতক। সিবিআইয়ের দাবি, ওই হাসপাতালে নিয়মিত কয়লা পাচারের টাকা বিনিয়োগ হত।
সিবিআইয়ের আরও দাবি, ওই ডিরেক্টর তাদের সামনে বয়ান দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁর সংস্থার নামে দু’টি বিলিতি গাড়ি কেনা হয়েছিল। একটির দাম ৩০ লক্ষ টাকা। সেটি কিছুদিনের মধ্যে বিনয় মাত্র ১৮ লক্ষ টাকায় তাঁর একটি সংস্থার নামে কিনে নিয়েছিলেন। তদন্তকারীদের দাবি, সেটি চড়েই নাকি ঘুরতেন বিনয়।
তদন্তকারীদের দাবি, ওই ডিরেক্টর ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকায় আরও একটি বিলিতি গাড়ি কিনেছিলেন। সেটি আর এক যুব নেতার সংস্থার নামে হাতবদল হয়েছিল। সিবিআইয়ের অভিযোগ, ওই সংস্থায় শুধুমাত্র ডিরেক্টর রয়েছেন, কোনও কর্মী নেই। ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকার বিলিতি গাড়িটি ৭০ লক্ষ টাকায় ওই ডিরেক্টরের সংস্থার কাছ থেকে ওই নেতার সংস্থার নামে রেজিস্ট্রেশন
করা হয়।
তদন্তকারীদের দাবি, বিনয়ের বাসস্থান বলে একটি চারতলা বাড়িটির হদিস পাওয়া গিয়েছে। সেটি যে ব্যক্তির নামে কেনা হয়েছে বলে নথিপত্র জমা পড়েছে, ওই নামে কোনও ব্যক্তির খোঁজ মেলেনি। ফলে কোনও নকল সংস্থা এবং ব্যক্তির নামে বাড়িটি কেনা হয়েছিল বলে সিবিআই মনে করছে। সিবিআইয়ের আরও দাবি, শুধুমাত্র এক যুব নেতার নামে বাঁকুড়ার এক ওসি মাসে বেশ কয়েক কোটি টাকা ‘তোলা’ আদায় করে নিয়ে আসতেন। অনুপ মাজি ওরফে লালার বাড়ি থেকে পাওয়া নথিপত্র সংশ্লিষ্ট ওসিকে দেখানোর পরে তিনি সবই প্রায় মেনে নিয়েছেন বলে দাবি সিবিআইয়ের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy