দলে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য বারবার কড়া বার্তা দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই হুঁশিয়ারি দলের নিচুতলায় কতটা পৌঁছচ্ছে, ফের সেই প্রশ্ন তুলে দিল খেজুরি।
শুভেন্দু অধিকারীর সভার জন্য প্রচার-মিছিল ঘিরে বুধ ও বৃহস্পতি— দু’দিন ধরে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর বোমাবাজি এবং গুলি চালানোকে ঘিরে তেতে ওঠে খেজুরি-১ ব্লকের ঘোলাবাড় গ্রাম। কেউ হতাহত না হলেও বৃহস্পতিবার পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আনার সময়ে আক্রান্ত হয় পুলিশ। তাদের দিকে তৃণমূলেরই একাংশ ইট-বঁটি-কাটারি ছুড়ে মারে বলে অভিযোগ। পাঁচ পুলিশকর্মী আহত হন। এসডিপিও (কাঁথি) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পুলিশের উপরে হামলার ঘটনায় অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’’ নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তথা পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, বিবাদের জেরে গোলমাল। দলেরও যোগ নেই। তিনি বলেন, ‘‘পুলিশকে বলা হয়েছে, যারা গোলমাল করছে, তাদের অবিলম্বে ধরতে হবে।’’ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, গ্রামে অশান্তি সৃষ্টির জন্য সিপিএমের কিছু লোকজনই এই কাজ করেছে। সিপিএম অভিযোগ মানেনি। তৃণমূলেরই একাংশের দাবি, তৃণমূল বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল ও জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম দাসের অনুগামীরাই গোলমালে যুক্ত। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, কিছুদিন ধরে রণজিৎবাবু ও পার্থবাবুর অনুগামীদের বিবাদ চলছে। গত ৬ মে সংঘর্ষে জড়িয়েছিল দু’পক্ষ। আগামী ৭ জানুয়ারি খেজুরিতে শুভেন্দুর সভার জন্য রণজিৎবাবুর অনুগামী হিসেবে পরিচিত রতিউর রহমান ও তাঁর লোকজন বুধবার মিছিল করে ঘোলাবাড়ে। অভিযোগ, মিছিলে বোমা মারে কলাগেছিয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ ইয়াসিনের অনুগামীরা। বিধায়কের দাবি, ‘‘দলের নতুন কর্মীদেরমেনে নিতে পারছেন না পুরনো কর্মীদের একাংশ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy