Advertisement
E-Paper

Covid vaccine: নথিভুক্তি ছাড়া প্রথম ডোজ়, দুর্নীতি?

হাসপাতালে সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ থেকে ২০২১-এর জুন মাসের মধ্যে অনেককে টিকা দেওয়া হয়েছে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া।

সাগর হালদার  

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:৩২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

করোনা টিকা পেতে গেলে ‘কো উইন’ পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু সেই সরকারি নিয়মকে লঙ্ঘন করে বিনা রেজিস্ট্রেশনে বহু মানুষকে টিকা দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নদিয়ার তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণাধীন একাধিক টিকাকেন্দ্রে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, তাঁদের কাছ থেকে যাঁরা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ় নিয়েছেন তাঁদের ২৫ শতাংশেরই পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করা বা রেজিস্ট্রেশন করা নেই! ফলে এখন দ্বিতীয় ডোজ় বা বুস্টার ডোজ় নিতে গিয়ে তাঁরা বিপদে পড়ছেন। টিকা পাচ্ছেন না। তা নিয়ে হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন কয়েক জন।

হাসপাতালে সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ থেকে ২০২১-এর জুন মাসের মধ্যে অনেককে টিকা দেওয়া হয়েছে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া। কী করে এমন হল তা নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরে এখন তোলপাড় চলছে। এই ঘটনায় স্বাস্থ্যকর্তাদের আশঙ্কা, হাসপাতালের মধ্যেই কোনও চক্র করোনা টিকা সংক্রান্ত দুর্নীতিতে জড়িয়েছিল। সম্ভবত, টিকার চাহিদার ফায়দা তুলে তারা টাকা নিয়ে এমন অনেককে ভ্যাকসিন দিয়েছে যাঁদের নাম পোর্টালে তোলা হয়নি।

সুপারের কার্যালয় থেকে জানা গিয়েছে, একটা সময় ওই হাসপাতালের ভ্যাকসিন কেন্দ্রে একটি বেসরকারি সোসাইটির সাত জন কর্মীকে কাজে রাখা হয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে কিছু অনৈতিক কাজের অভিযোগও উঠেছিল। গত বছরের মাঝামাঝি নতুন সুপার আসার পর তাঁদের সরানো হয়। বর্তমান সুপার বাসুদেব মণ্ডল সরাসরি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ না-করলেও বলেন, ‘‘ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ ঠিকঠাক চালাতেই ওই সাত জনকে সরিয়ে হাসপাতালে কর্মীদের নিয়োগ করা হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি দেখছেন।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপন দাসের কথায়, “পোর্টালে নাম নেই মানে তিনি পরবর্তী ডোজ় পাবেন না। সরকারি গাইডলাইন মেনে কাজ করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের কিছু
করার নেই।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেতাইয়ের এক বাসিন্দার বক্তব্য, “পোর্টালে নাম কী করে তুলতে হয় আমরা বুঝতে পারিনি। কিন্তু হাসপাতালের কেন্দ্রে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েই ভ্যাকসিন নিয়েছি। এখন শুনছি, পোর্টালে নাম নেই বলে বুস্টার ডোজ দেবে না।” গত বছরের ৯ অক্টোবর তেহট্ট হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণাধীন শ্রীদামচন্দ্র বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে থেকে প্রথম ডোজ় নেন তেহট্টের খড়িয়াপাড়ার বরকত মণ্ডল। তাঁর ছেলে পলাশ মণ্ডল বলেন, “আমরা গ্রামের মানুষ। অত পোর্টালের ব্যাপারে জানি না। প্রথম বার তো বাবা এমনিই ভ্যাকসিন পেয়েছিলেন। কিন্তু শুক্রবার তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে দ্বিতীয় ডোজ় নিতে গিয়ে জানতে
পারলেন, পোর্টালে নাম না থাকায় ডোজ় দেওয়া হবে না। এটা তো অন্যায়। আমরা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।”

যাঁরা রেজিস্ট্রেশন ছাড়াই প্রথম ডোজ় পেয়েছেন তাঁরা কেউই টাকার বিনিময়ে টিকা পাওয়ার ব্যাপারে মুখ খোলেননি। বিষয়টি হয় এড়িয়ে গিয়েছেন বা অস্বীকার করেছেন।

Corona Vaccine Coronavirus CoWin App
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy