—প্রতীকী ছবি।
আয় বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ উঠল বর্ধমান (দক্ষিণ)-এর তৃণমূৃল বিধায়ক খোকন দাসের বিরুদ্ধে।
এ ব্যাপারে কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলাও দায়ের হয়েছে। মামলাকারী বিধান কুন্ডুর অভিযোগ, পাঁচ বছরের মধ্যে কী ভাবে খোকনের এত সম্পত্তি হল তা নিয়ে ইডি-কে তদন্তভার দেওয়া হোক।
বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগণনম এই মামলায় খোকনকে নোটিস পাঠাতে বলেছেন। পাশাপাশি পরবর্তী শুনানিতে ইডি-র আইনজীবীকে উপস্থিত থাকতেও বলেছেন। সূত্রের খবর, শুধু খোকনই নন, তাঁর স্ত্রীও জনপ্রতিনিধি। তিনি স্থানীয় পুরসভার তৃণমূল উপপ্রধান। মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানি হবে।
মামলাকারী জানিয়েছেন, বিধায়ক হওয়ার আগে পুর-প্রতিনিধি ছিলেন খোকন। বিধায়ক হওয়ার পরেই সম্পত্তি লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এ ব্যাপারে ইডি-র কাছে অভিযোগ জানালেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। প্রসঙ্গত, এর আগে গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতারের পরে খোকনকে এক বার সিবিআই তলব করেছিল।
খোকনের প্রতিক্রিয়া, ‘‘যত খুশি মামলা করুক। আমার কোনও মন্তব্য নেই। হাই কোর্টে আমার আইনজীবীরা বিষয়টি বুঝে নেবেন।” স্থানীয় সূত্রের দাবি, দুই ব্যবসায়ীর আর্থিক বিবাদের ভিতরে ঢুকে পড়েছিলেন বিধায়ক। সে নিয়ে বর্ধমানের ব্যবসায়ী বিধান অভিযোগ করেন। অভিযোগ ছিল, বিধায়কের নাম করে তাঁর বাড়িতে হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের চেষ্টাও করা হয়েছিল। নিরাপত্তার অভাব জানিয়ে তিনি বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগও করেন। বিধায়কের ঘনিষ্ঠ মহলের পাল্টা অভিযোগ, ওই ব্যবসায়ী নিজেই প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত। চেক বাউন্স করারও মামলা রয়েছে। বিধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy