বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসআইআর-এর এনুমারেশন ফর্ম দেওয়ার কথা বুথ লেভেল অফিসারদের (বিএলও)। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় তা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, এই অবস্থায় জেলা প্রশাসনগুলিকে বিধি মেনে কাজ পরিচালনার বার্তা পাঠাল কমিশন। অভিযোগ পেলে যে ব্যবস্থা হবে, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
এ দিকে, শুক্রবার বিএলওর পরিবারেই খোঁজ মিলেছে এক বাংলাদেশির। নদিয়ার মুরুটিয়া থানার সীমান্ত এলাকা শিকারপুর এলাকার বিএলও শেকাব শেখের বাবার নাম চাঁদু শেখ। অভিযোগ, চাঁদু শেখকে বাবা সাজিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছিলেন বাংলাদেশের বাসিন্দা আনছুর শেখ। তদন্ত শুরু হয়েছে।
এ দিন রাত ৮টা পর্যন্ত প্রায় ৩.০৪ কোটি ভোটারের কাছে এনুমারেশন ফর্ম পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত আটটা পর্যন্ত এই সংখ্যা ছিল প্রায় ২.০১ কোটি। আটটি রাজনৈতিক দল মিলিয়ে এ দিন পর্যন্ত ১ লক্ষ ১৮ হাজার ৬৫৯ জন বিএলএ-কে (পোশাকি ভাষায় বিএলএ-২) মনোনীত করা হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে ফর্ম বিলি ঘিরে বিজেপি-তৃণমূল সংঘাত বাধে। জলপাইগুড়ির শিকারপুর পঞ্চায়েতের একটি বুথে বিএলও বাড়িতেই সকলকে ডেকে এনে গণনাপত্র দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। জলপাইগুড়ির সদর ব্লকেও বাজারের মধ্যে গণনাপত্র বিলি চলছিল বলে দাবি। কোচবিহারের মাথাভাঙায় বিজেপির বুথ লেভেল এজেন্ট (২)-কে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলের তিন কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার তাঁরা জামিন পান। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের বিভিন্ন এলাকায় অভিযোগ, বিএলও-রা তৃণমূল কর্মীদের সহায়তায় নির্দিষ্ট জায়গায় বসে ফর্ম বিতরণ করছেন। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের বিধাননগরে তৃণমূলের কার্যালয় চত্বরে বিএলওকে সঙ্গে নিয়ে সাংসদ কীর্তি আজাদ ফর্ম বিলি করছেন বলে অভিযোগ বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের। কীর্তির দাবি, “ভোটারদের অনেকের কাছে তথ্য নেই। সেগুলি খুঁজে দিচ্ছিলাম।”
এ দিনই উত্তরবঙ্গে বৈঠকের পরে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দিব্যেন্দু দাস বলেন, “এ রাজ্যে সবচেয়ে মসৃণ ভাবে সংশোধনের কাজ চলছে।” ছিটমহল বা বন্যায় কাগজ ভেসে যাওয়া দুর্গত— কারও সমস্যা হবে না বলেই কমিশনের দাবি। বিএলও-সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে দিব্যেন্দুর সংযোজন, “সমস্ত অভিযোগ দেখা হচ্ছে।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)