E-Paper

অঙ্ক পরীক্ষার সময় নিয়ে প্রথম দিন থেকেই চিন্তায়

ল্টলেকের স্কুলে পরিদর্শন সেরে বেরোতেই অভিভাবকেরা চিরঞ্জীবের সামনে অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা বা বাণিজ্য শাখার কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষার সময়সীমা বাড়াতে হবে বলে দাবি করেন। পরীক্ষা শেষে বেরিয়ে পড়ুয়ারাও এই নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:৫২

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

সিমেস্টার পদ্ধতিতে রাজ‍্যে প্রথম বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনেও পাঠ‍্যক্রম থেকে পরীক্ষার সময় নিয়ে সমস‍্যার নানা অভিযোগ শুনতে হল আধিকারিকদের। সল্টলেকের ভগবতী দেবী বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা কেমন হচ্ছে দেখতে গিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য সোমবার কার্যত অভিভাবকদের ক্ষোভের মুখে পড়েন। তবে মোটের উপরে প্রথম দিনের পরীক্ষা নির্বিঘ্নে মিটেছে। এ দিন ছিল প্রথম ভাষার পরীক্ষা।

তখনও পরীক্ষা শেষ হয়নি। সল্টলেকের স্কুলে পরিদর্শন সেরে বেরোতেই অভিভাবকেরা চিরঞ্জীবের সামনে অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা বা বাণিজ্য শাখার কয়েকটি বিষয়ের পরীক্ষার সময়সীমা বাড়াতে হবে বলে দাবি করেন। পরীক্ষা শেষে বেরিয়ে পড়ুয়ারাও এই নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, ৪০টি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে এক ঘণ্টা ১৫ মিনিটে। অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা, বাণিজ্য শাখার কয়েকটি বিষয়ের সমাধান কষতে যথেষ্ট সময় লাগে। ক‍্যালকুলেটরও ব্যবহার করা যাবে না। ফলে পরীক্ষার্থীদের অবস্থা সঙ্গীন।

তবে সময়সীমা এ বছর বাড়ানো যাবে না কিনা, নিশ্চিত নন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি। তিনি জানান, পরীক্ষার শুরুতে ওএমআর শিটে নাম, রোল নম্বর লেখায় আর একটু সময় দেওয়া যায় কি না, সেটা ভেবে দেখা হচ্ছে। ওএমআর শিটে নিজের নাম এবং রোল নম্বর লিখতে কিছু পরীক্ষার্থীর অসুবিধা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ওই সব ওএমআর শিট এ দিন পাল্টে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

অভিভাবকদের আরও অভিযোগ, এই সিমেস্টারের বই এসেছে মাত্র দেড় মাস আগে। বই না পেয়ে কিছু ক্ষেত্রে পিডিএফ খুঁজে পড়তে হয়েছে। সংসদের নিখরচায় দেওয়া বাংলা ও ইংরেজি বই পেতে সমস‍্যা হয়েছে। দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি বইটির এই সিমেস্টারের জন্য নির্ধারিত অংশ এমসিকিউ উপযোগী করে লেখা হোক, দাবি অভিভাবকদের। চিরঞ্জীব বলেন, “প্রথম দিকে সমস্যা হলেও এখন সব বই পাওয়া যাচ্ছে। সংসদের নিজস্ব বিপণিতেও সব বই রয়েছে।”

পরীক্ষার পরে সংসদ সভাপতি জানান, প্রথম সিমেস্টারের ফল ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বেরোবে। এর ৭২ ঘণ্টা পরে পরীক্ষার্থীদের সব বিষয়ের ওএমআর শিটের স্ক্যান করা কপি সংসদের ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হবে। চিরঞ্জীব জানান, এ বছর কত জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত, কত জনের নামে ‘আরএ’ (রিপোর্টেড এগেনস্ট) হয়েছে এ সব তথ্য পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই জানানোর জন্য নতুন পোর্টাল খোলা হয়েছে। এ দিন ৬ লক্ষ ৬০ হাজারের মতো পরীক্ষার্থীর মধ্যেঅনুপস্থিত ৫৫২৭ জন। কোনও ‘আরএ’ হয়নি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Mathematics Exam School students new syllabus

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy