পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে সব আসনে প্রার্থী দেওয়া নিয়েই চিন্তা। তার উপরে শাসক দলের তাণ্ডব, প্রশাসনের মদত এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ‘নিষ্ক্রিয়তা’। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তৃণমূল স্তরে শাসক দলের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের কাছে টানার চেষ্টায় নামছে কংগ্রেস।
বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল হলেও সাংগঠনিক শক্তির নিরিখে জেলায় জেলায় সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার জায়গায় নেই কংগ্রেস। মৌলালি যুবকেন্দ্রে বৃহস্পতিবার রাজ্য পঞ্চায়েতিরাজ সম্মেলনের প্রস্তুতি সভায় সেই বাস্তব স্বীকারও করে নিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কিন্তু একই সঙ্গে তাঁর বার্তা, লড়াইয়ের ময়দান ছেড়ে পালিয়ে গেলে চলবে না। যেখানে যেখানে সম্ভব, রুখে দাঁড়িয়ে লড়াই করতে হবে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্প্রতি তাঁর দলের কর্মীদের যে ভাবে তিন ভাগে ভাগ করেছিলেন, সেই সূত্র ধরেই তাঁদের কৌশল তৈরি করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। অধীরবাবু এ দিনের সভায় জেলা ও ব্লক সভাপতিদের বুঝিয়েছেন, আদি, নব্য ও ‘তৎকাল’ তৃণমূলের মধ্যে ভাগ বাঁটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। কেউ কেউ তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়েওছেন (মুকুল রায়ের নাম অবশ্য ওঠেনি)। দেওয়া-নেওয়ার রাজনীতি ঘিরে তৃণমূলের মধ্যে যে বিরোধ আছে, তাকেই কাজে লাগানোর বার্তা দিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি। সাংগঠনিক স্তরে প্রার্থী বাছাই-সহ অন্যান্য সাংগঠনিক প্রস্তুতিও শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় নেতৃত্বকে।
বৈঠকের পরে অধীরবাবু বলেন, ‘‘জেলায় জেলায় সম্মেলনের পরে আগামী ২৩ ডিসেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্য পঞ্চায়েতিরাজ সম্মেলন হবে। ওই সম্মেলনে রাহুল গাঁধী যাতে উপস্থিত থাকেন, আমরা সেই অনুরোধ করেছি। প্রতিটা ব্লক থেকে দলের কর্মীরা ওই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন।’’ পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘প্রহসন’ হতে পারে ধরেই তাঁরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন অধীরবাবু। দলের অধিকাংশ বিধায়ক পঞ্চায়েতের সভায় উপস্থিত থাকলেও বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ছিলেন না। তিনি অবশ্য জানিয়েছেন, তাঁর অন্যত্র কর্মসূচি ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy