Advertisement
২১ মার্চ ২০২৩

দেওধরের মতো ঘাঁটি গাড়বেন রাহুলের দূত

এই শহরে তাই আস্তানা খুঁজছেন এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক ও পড়শি রাজ্যের সাংসদ গৌরব গগৈ।

কালীঘাটে গৌরব গগৈ।

কালীঘাটে গৌরব গগৈ।

সন্দীপন চক্রবর্তী
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৮ ০৩:৩৮
Share: Save:

শুধু দিল্লি থেকে উড়ে এসে বৈঠক করে চলে যাওয়া নয়। কলকাতায় ঘাঁটি গেড়ে বঙ্গ রাজনীতির হালচাল বুঝতে চান রাহুল গাঁধীর দূত। এই শহরে তাই আস্তানা খুঁজছেন এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক ও পড়শি রাজ্যের সাংসদ গৌরব গগৈ।

Advertisement

রাজ্যে বাড়ি ভাড়া নিয়ে পড়ে থেকে, বাংলা শিখে ত্রিপুরায় হাতে-গরম সাফল্য এনে দিয়েছেন বিজেপির পর্যবেক্ষক সুনীল দেওধর। পক্ষান্তরে কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক সি পি জোশীকে বাংলায় দেখা যেত কালেভদ্রে! কাজের সেই ধারাই পাল্টাতে চাইছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুলের নিযুক্ত নতুন পর্যবেক্ষক। কলকাতায় কংগ্রেস সতীর্থদের তিনি বলেছেন, তাঁর থাকার জন্য বাড়ি খুঁজে দিতে। আর দু’দিন ধরে দলের সাংসদ, বিধায়ক, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা, জেলা সভাপতি ও শাখা সংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় গৌরবের বার্তা, ‘এআইসিসি-র কাছে আপনাদের পৌঁছতে হবে না। এআইসিসি-ই আপনাদের কাছে আসবে। আমি এখানেই থাকব। আপনাদের বক্তব্য রাহুলজি’র কাছে পৌঁছে দেব’।

যা শুনে প্রদেশ কংগ্রেসের কেউ কেউ বলছেন, ‘‘এর মানে হচ্ছে বাংলায় দলের উপরে নজরদারির জন্য রাহুল গাঁধী এ বার চৌকিদার বসালেন!’’

বিধান ভবনে রাহুল গাঁধীর জন্মদিন পালন করছেন গৌরব।— নিজস্ব চিত্র।

Advertisement

রাজ্য কংগ্রেসের ভার পাওয়ার পরে দু’দিনের সফরে সর্বস্তরের নেতাদের কথা ধৈর্য ধরে শুনেছেন গৌরব। জানতে চেয়েছেন, সংগঠনের সমস্যা নিয়ে কার কী মত। গৌরবের সঙ্গে বৈঠকে কয়েক জন নেতা অভিযোগ করেছেন, তাঁর এই বৈঠকের খবরই সকলকে দেওয়া হয়নি! আবার ফরাক্কার বিধায়ক মইনুল হক ক্ষোভের সুরে জানিয়ে গিয়েছেন, কেন কংগ্রেস করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। গৌরব সকলকেই বলেছেন, রাহুলের নজর এখন সংগঠন চাঙ্গা করার দিকেই।

আরও পড়ুন: বলরামপুরে এলেন উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী

গৌরব বলছেন, ‘‘এ বার এসে সকলের সবিস্তার মতামত শুনলাম। এর পরে ট্রেনে, বাসে, গাড়িতে বাংলার নানা জায়গায় ঘুরব। মানুষের অভিমত, কংগ্রেস কর্মীদের মনোভাব আমি বুঝতে চাই।’’ দলীয় বৈঠকের আগে মঙ্গলবার সকালেই তিনি গিয়েছিলেন কালীঘাটে তীর্থ দর্শনে।

নতুন পর্যবেক্ষকের কাছে দলের নেতারা যাতে নিঃসঙ্কোচে মনের কথা উজাড় করতে পারেন, তার জন্য অধীর চৌধুরী নিজেই সেই আলোচনা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রদেশ সভাপতি অবশ্য মনে করছেন, ‘‘রাহুলজি গৌরবকে দায়িত্ব দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর হাতে তো কোনও জাদু নেই! সংগঠনকে বাঁচানোর কাজ আমাদেরই করতে হবে, ওঁরা সহযোগিতা করবেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.