পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, আগামী বছরের ভোটমুখী রাজ্য কেরল আর তামিলনাড়ুতেও এসআইআর ‘স্পর্শকাতর’ বিষয় হয়ে উঠছে বলে কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছেন।
পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই একাধিক মৃত্যু ও অপমৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ বার কেরলেও এসআইআর-এর কাজের চাপে বিএলও হিসেবে নিযুক্ত এক সরকারি কর্মী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ। রাজস্থানেও এসআইআর-এর কারণে একটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এই পরিপ্রেক্ষিতে কী ভাবে কংগ্রেস বুথ স্তরে এসআইআর-এর মোকাবিলা করবে, কংগ্রেস হাইকমান্ড তার পথ ঠিক করতে চাইছেন। নির্বাচন কমিশন যে ১২টি রাজ্যে এসআইআর শুরু করেছে, সেই রাজ্যগুলির নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার কংগ্রেস হাইকমান্ডের বৈঠকে মূলত এই বিষয়েই আলোচনা হবে।
পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস ইতিমধ্যেই এসআইআর-এ আপত্তি তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে। কেরলের প্রদেশ কংগ্রেসও এসআইআর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেরলের ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন অব মুসলিম লিগ সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেছে। কান্নুরে বিএলও অনীশ জর্জ কাজের চাপে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠার পরে কেরলে এসআইআর নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে।
কেরলের কংগ্রেস নেতৃত্ব আগেই দাবি করেছেন, বিহারে এনডিএ যে ২০২টি আসনে জিতেছে, তার মধ্যে ১২৮টি আসন এসআইআর-এর মাধ্যমে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার সুবাদে জেতা। কংগ্রেস সূত্রের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশে কোনও সরকারি কর্মী বিএলও হিসেবে কাজ করতে না চাইলে এফআইআর দায়েরের হুমকি দেওয়া হয়েছে।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাহুল গান্ধী ভোট চুরির অভিযোগ থেকে সরছেন না। তিনি এ বিষয়ে আরও তথ্য নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন। নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন, নেতৃত্বের প্রতি অসন্তোষের জেরে কংগ্রেসে ফাটল ধরবে। আজ কংগ্রেস নেতা অশোক গহলৌত পাল্টা বলেছেন, “মোদী আগে ঘর সামলান। বিজেপি, আরএসএসের মধ্যে বিবাদের জেরে দু’বছর ধরে নতুন বিজেপি সভাপতি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।”
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)