বাংলাদেশি সন্দেহে সে দেশে ‘পুশ ব্যাক’ করা এ রাজ্যের মালদহের পরিযায়ী শ্রমিক আমির শেখকে দেশে ফেরানো হয়েছে বলে দাবি করলেন দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেসের সাংসদ ইশা খান চৌধুরী। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘‘বিএসএফের এক শীর্ষ কর্তা আমিরকে দেশে ফেরানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন। ভাল খবর। আমিরের পরিবারের ফোন নম্বর বিএসএফকে (সীমান্ত রক্ষী বাহিনী) দেওয়া হয়েছে।’’
বিএসএফের স্থানীয় কর্তারা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিক উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘বিএসএফের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা করা হয়। আইনি জটিলতায় পড়ে বিএসএফ আমিরকে ফেরানোয় সক্রিয় হল।’’ তবে আমির কোথায় রয়েছেন, কবে তিনি ফিরবেন, তা জানেন না বাড়ির লোক।
তিন মাস আগে রাজস্থানে নির্মাণ শ্রমিকের কাজে গিয়েছিলেন কালিয়াচকের জালালপুরের বছর চব্বিশের আমির। গত ২৪ জুলাই তাঁর একটি ভিডিয়ো ছড়ায় সমাজমাধ্যমে। অভিযোগ, রাজস্থানে দু’মাস আটকে রেখে রাতের অন্ধকারে বিএসএফের মাধ্যমে তাঁকে বাংলাদেশি সন্দেহে ‘পুশ ব্যাক’ করা হয়। আমিরকে ফেরানোর জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, বিএসএফের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন সাংসদ ইশা। কলকাতা হাই কোর্টে আমিরের পরিবারকে মামলা করতে সহায়তা করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সামিরুল।
পরিবারের দাবি, প্রায় তিন সপ্তাহ পরে, সোমবার ফের ‘ভিডিয়ো কল’-এ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন আমির। জানান, বাংলাদেশের পুলিশ অনুপ্রবেশকারী অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে। বাংলাদেশে জেল খাটার পরে, জামিন পেয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের তরফ থেকে তাঁকে বিএসএফের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ শাখার ডিআইজি পদমর্যাদার এক আধিকারিক অবশ্য বলেন, “আমিরের বিষয়ে জানা নেই।” আমিরের বাবা জিয়েম শেখের ক্ষোভ, “ছেলে বলেছে, ওকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়েছে। কারা মারধর করেছে, বলেনি। রাজস্থান, বাংলাদেশে জেল খাটতে হয়েছে ওকে। এর বিচার কে করবে!’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)