প্রতীকী ছবি।
সিবিআই-কাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধর্নাকে সামনে রেখে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার প্রতারণার ঘটনায় বিজেপি ও তৃণমূলের উপরে চাপ বাড়াতে সক্রিয় হল বাম ও কংগ্রেস। প্রতারিতদের টাকা ফেরত ও অভিযুক্তদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে আজ, বুধবার কলকাতায় মিছিল করবে প্রদেশ কংগ্রেস। একই দাবি নিয়ে আগামী ১২ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে বামফ্রন্ট।
কংগ্রেস ও বাম নেতৃত্বের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সারদা, রোজভ্যালির তদন্ত ভার হাতে পাওয়ার পরে পাঁচ বছরে বারেবারে নিষ্ক্রিয়তা দেখিয়েছে সিবিআই। এখন লোকসভা ভোটের মুখে তাদের ‘অতি সক্রিয়তা’ নিয়ে প্রশ্ন আছেই। সারদা-কাণ্ডে অভিযুক্ত দুই নেতা মুকুল রায় ও হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে দলে নিয়ে তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপিও ‘প্রতারণার সুবিধাভোগী’ হয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। তবে একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্নার বিরুদ্ধেও সরব তাঁরা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতাও মঙ্গলবার ধর্নামঞ্চ থেকে সুদীপ্ত সেনের পুরনো চিঠি দেখিয়েছেন, যেখানে সারদা-কর্তা লিখেছেন হিমন্তবাবু তাঁর সংস্থা থেকে অন্তত তিন কোটি টাকা নগদে নিয়েছেন। অসমের মন্ত্রী হিমন্তবাবু অভিযোগ নস্যাৎ করে মমতার উদ্দেশে টুইটে বলেছেন, ‘‘আপনার সিপি-র মতো আমি ভাগ্যবান নই! সাক্ষী হিসেবে আমি তদন্তকারীদের সঙ্গে সহযোগিতা করেছি এবং সেটা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগেই।’’
বামফ্রন্টের বৈঠকের পরে এ দিন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর মন্তব্য, ‘‘কোনও মুখ্যমন্ত্রী এর আগে সিপি-র বাড়িতে ছুটে যাননি। সিবিআইয়ের হাত থেকে সিপি-কে আড়াল করতে চেয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে জেরার মুখোমুখি হতে বলেছে।অথচ মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, নৈতিক জয়! রাজ্যের অষ্টম মুখ্যমন্ত্রী উনি এবং অষ্টম আশ্চর্য!’’ বিমানবাবুর প্রশ্ন, ‘‘রাজ্যবাসী জানতে চায়, ধর্নার খরচ কে দিল?সরকার না তৃণমূল?’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেছেন, ‘‘রাজ্যের মানুষ নতুন তামাশা দেখলেন। প্রতারিত৪০ লক্ষ মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কোনও মাথাব্যথা নেই। তিনি বলেছিলেন, রাজ্যবাসী যেন সিগারেট বেশি খেয়ে তার উপরে লাগানো করের টাকা তুলে দেন প্রতারিতদের দেওয়ার জন্য! এখন সিবিআইয়ের জেরা থেকে সিপি-কে আড়াল করার জন্য ধর্নায় বসে পড়লেন!’’ রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে ভিক্টোরিয়া হাউস পর্যন্ত আজ, বুধবার মিছিলের কথা জানিয়ে সোমেনবাবুর বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মেট্রো চ্যানেলে কর্মসূচি নিষিদ্ধ করে সেখানে নিজেই ধর্না দিয়েছেন।’’
বিধানসভাতেও এ দিন হইচই করেছেন বাম ও কংগ্রেস বিধায়কেরা। পরে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘‘তৃণমূল এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যাতে টাকা ফেরত দিতে না হয়, বিজেপি তার রাজনৈতিক ফায়দা নিচ্ছে।’’ বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর কটাক্ষ, ‘‘এর পরে ভুবনেশ্বরে মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে। মেট্রো চ্যানেলে তার অনুশীলন হল!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy