কেন্দ্রীয় নানা সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বুধবার আক্রমণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই দিনই নরেন্দ্র মোদী-শাহদের ‘প্রতিহিংসার রাজনীতি’র প্রতিবাদে কংগ্রেসের বিক্ষোভ ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল বিধাননগরে সিজিও কমপ্লেক্স চত্বরে। ‘ন্যাশনাল হেরাল্ড’ মামলায় কংগ্রেসের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী ও লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর নামে চার্জশিট দিয়েছে ইডি। ‘প্রতিহিংসা’র কারণেই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে নিশানা করা হচ্ছে, এই অভিযোগে সারা দেশে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস।
প্রদেশ কংগ্রেসের ডাকে বিক্ষোভ ছিল সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র আঞ্চলিক দফতরের সামনে। কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা ইডি-র দফতরে দাবিপত্র দিতে চাইলে পুলিশ প্রথমে বাধা দেয়। বন্ধ ফটকের উপরে উঠে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন কিছু কংগ্রেস কর্মী। লাঠি চালিয়ে তাদের সরিয়ে দেয় র্যাফ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে বিক্ষোভ-অবস্থানে বসেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার, অমিতাভ চক্রবর্তী, মহম্মদ মুক্তার, উত্তর ২৪ পরগনা (শহরাঞ্চল) জেলা সভাপতি তাপস মজুমদারেরা। প্রদেশ সভাপতি শুভঙ্করের অভিযোগ, ‘‘যে সব আন্তর্জাতিক পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে শিকল পরিয়ে ট্রাম্প সরকার ভারতে পাঠিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগ যে গুজরাতের মানুষ, সেটা রাহুল গান্ধীই প্রথম মানুষকে জানিয়েছিলেন। আগামী বিধানসভা ভোটের অনেক আগে থাকতেই গুজরাত কংগ্রেসকে নির্বাচনমুখী করে তোলার প্রয়াস নিয়েছেন। তাই এই প্রতিহিংসার রাজনীতি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)