Advertisement
E-Paper

‘দলবদলু’দের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন কংগ্রেসের

তৃণমূলে বৃহস্পতিবার যে সাংগঠনিক রদবদল হয়েছে, তাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতির পদে আনা হয়েছে গৌতম দাসকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০২০ ০৫:৩৬
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

বিরোধী থেকে শাসক শিবিরে নাম লেখানো ‘দলবদলু’ বিধায়কদের ঘিরে ফের মাথাচাড়া দিল বিতর্ক। তৃণমূলের নবগঠিত কমিটির সাংগঠনিক পদাধিকারী হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন এমন অন্তত তিন জন, যাঁরা এখনও খাতায়-কলমে কংগ্রেসের বিধায়ক। এই সিদ্ধান্তের জেরে নৈতিকতার প্রশ্ন তুলছে কংগ্রেস। তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য বিতর্কে আমল না দিয়ে দাবি করছেন, দল বদল করা বিধায়কেরা এখন তাঁদের দলেরই অঙ্গ।

তৃণমূলে বৃহস্পতিবার যে সাংগঠনিক রদবদল হয়েছে, তাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতির পদে আনা হয়েছে গৌতম দাসকে। যুব তৃণমূলের নতুন রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদকদের তালিকায় নাম রয়েছে নদিয়ার অরিন্দম ভট্টাচার্য এবং হাসানুজ্জামানের। এই তিন বিধায়কই আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসের বিধায়ক। কংগ্রেস পরিষদীয় দলের প্রশ্ন, শাসক দলের পদাধিকারী হিসেবে নিয়োগ করার আগে তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁদের বিধায়ক-পদ ছাড়তে বললেন না কেন? বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের বক্তব্য, ‘‘এই ২১শে জুলাই মুখ্যমন্ত্রী সকলকে গণতন্ত্র, নীতিকথা, অধিকারের পাঠ পড়ালেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, তিনি যে গণতন্ত্রের পাঠশালায় পড়েছেন, সেখানে নৈতিক অবস্থানের কোনও স্থান নেই। কংগ্রেসের বিধায়ক হিসেবে যাঁরা নির্বাচিত, তাঁদের আগে পদত্যাগ করানোর নৈতিক সাহস তিনি দেখাতে পারলেন না?’’

রাজ্যের পরিষদীয় প্রতিমন্ত্রী এবং তৃণমূলের নতুন সহ-সভাপতি তাপস রায় অবশ্য বলেন, ‘‘উন্নয়নের প্রশ্নে ওঁরা আগেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। এখন তার সঙ্গে যোগ হয়েছে সাম্প্রদায়িকতা মোকাবিলার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই লড়াইয়ে তৃণমূলই প্রথম সারিতে, সেখানে ওই বিধায়কেরাও শামিল।’’

Congress TMC MLA
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy