প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম ও মৃত্যুদিনে উঠে এল রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গ। রাজ্য কংগ্রেসের দফতর বিধান ভবন ও রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে বিধানচন্দ্রের বাড়িতে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার ও দলের অন্য নেতারা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গিয়েছিলেন আর জি কর হাসপাতালের সামনে ‘অভয়া’র (নির্যাতিত ও নিহত চিকিৎসক-ছাত্রী) মূর্তিতে মালা দিতে। বিধানচন্দ্রকে স্মরণ করে শুভঙ্কর বলেছেন, ‘‘এমন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসন এখন বাংলায় থাকলে দুর্বৃত্তেরা অভয়া-কাণ্ডের মতো ঘৃণ্য কাজ করতে সাহস পেত না। রাজ্যে ভেঙে পড়া চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং লাগাতার নারী নির্যাতনের ঘটনার পরে সারা বাংলা আজ নতুন করে বিধানচন্দ্র রায়ের অনুপ্রেরণা ও দর্শনকেই খু়ঁজে পেতে চায়।’’ সমাজমাধ্যমে বিধানচন্দ্রকে স্মরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
বিধানচন্দ্র রায়কে স্মরণ। বিধান ভবনে। —নিজস্ব চিত্র।
বিধান-স্মরণের অনুষ্ঠানেই অনুতাপের সুর শোনা গিয়েছে প্রাক্তন বিধায়ক ও প্রয়াত সোমেন মিত্রের স্ত্রী শিখা মিত্রের গলায়। সোমেনের মৃত্যুর পরে শিখাই ‘বিধান মেমোরিয়াল ট্রাস্টে’র চেয়ারপার্সন, যে ট্রাস্টের পরিচালনাধীন বিধান ভবন। সেখানে অনুষ্ঠানে শিখা বলেছেন, কংগ্রেসে ছেড়ে যাওয়ার জন্য সোমেনের উপরে তাঁর ‘চাপ’ সৃষ্টি করা উচিত হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসে গিয়ে সাংসদ হয়েও সোমেন আবার কংগ্রেসে ফিরে এসেছিলেন। বিজেপির তরফে শুভেন্দু অধিকারী শিখাকে যে ভোটে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং সনিয়া গান্ধীর ফোন পেয়ে তিনি সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি, সেই কথাও উল্লেখ করেছেন সোমেন-জায়া।
প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিনেই ৮৫ পূর্ণ হয়েছে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর। কমিউনিস্ট পার্টিতে জন্মদিন পালনের রেওয়াজ নেই। কিন্তু বিমানকে ঘিরে আবেগ সে সবের ঊর্ধ্বে। বিধান-স্মরণ সেরে বিমানকে শুভেচ্ছা জানাতে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য, অমিতাভ চক্রবর্তী। কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় সেরে আড্ডা দিয়েছেন প্রবীণ বাম নেতা। জন্মদিনে বিমানের সুস্থতা কামনা করে তাঁর জীবন যাপন ও নিষ্ঠা থেকে নতুন প্রজন্মের শিক্ষা নেওয়ার কথা বলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকারও। সতীর্থ এবং সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা পেয়ে বিমান বলেছেন, সুস্থ ভাবে কাজ করে যেতে চান।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)