দক্ষিণ কলকাতায় আইন কলেজে ছাত্রীর গণধর্ষণের পর রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে নতুন কর্মসূচি শুরু করার কথা জানাল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ছাত্র পরিষদ। নতুন উদ্যোগটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ছাত্র বন্ধু’। মঙ্গলবার দুপুরে বিধান ভবনে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্য ছাত্র পরিষদের সভানেত্রী প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী।
মঙ্গলবার দুপুরের সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার ‘নৈরাজ্য’, আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং শিক্ষাঙ্গনে একের পর এক অপরাধমূলক ঘটনার বিরুদ্ধে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ছাত্র পরিষদ। উঠে এসেছে কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজে সাম্প্রতিক গণধর্ষণের প্রসঙ্গও। তাদের অভিযোগ, হাই কোর্টের নির্দেশে ইউনিয়ন রুম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেও কলেজ-ক্যাম্পাসগুলিতে ইউনিয়ন রুমগুলি নানা ‘অসামাজিক’ কার্যকলাপের আখড়া হয়ে উঠেছে। শাসকদলের ছাত্রনেতাদের দাপটে কলেজে কলেজে ‘ভীতির পরিবেশ’ তৈরি হয়েছে বলেও অভিযোগ। এ সব বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে ছাত্র পরিষদ। এই পরিস্থিতিতে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা এবং পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই ‘ছাত্র বন্ধু’ কর্মসূচি আনতে চলেছে ছাত্র পরিষদ।
এ বিষয়ে সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী প্রিয়াঙ্কা বলেন, “এই মুহূর্তে রাজ্যের কলেজগুলোতে ভয়, হুমকি আর দলীয় হস্তক্ষেপের মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা করতে হচ্ছে। চুপ করে থাকা চলবে না। ‘ছাত্র বন্ধু’ হবে তাঁদের ভরসা এবং নির্ভরযোগ্য শক্তি।” পড়ুয়ারা যাতে ছাত্র পরিষদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন, সে জন্য তিনটি হেল্পলাইন নম্বরও প্রকাশ করা হয়েছে। ছাত্র পরিষদের দাবি, কলেজে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা, সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা সরাসরি শুনে সমাধানের পথ খোঁজা ও আইনি সহযোগিতা দেওয়া এবং অরাজনৈতিক ভাবে পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই এই কর্মসূচি। পাশাপাশি, কসবার কলেজে গণধর্ষণকাণ্ডে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন ছাত্র পরিষদ নেতৃত্ব। ছাত্র পরিষদের আরও দাবি, কলেজে কলেজে অবিলম্বে ছাত্র সংসদে নির্বাচন শুরু করতে হবে। তার আগে পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে ইউনিয়ন রুম।