Advertisement
E-Paper

একসঙ্গে দশ হাজার পাত পড়বে বেলুড়ে

বেলুড় মঠ সূত্রের খবর, পুরো ভবন চালু হলে রাতেও প্রসাদ পাবেন ভক্তেরা। দু’বেলাই নিখরচায় তা পাওয়া যাবে। সৌরবিদ্যুৎ চালিত অত্যাধুনিক এবং লিফট। বেলুড়ের ব্যাটারিচালিত গাড়ি প্রয়োজনে র‌্যাম্পের মাধ্যমে উপরে উঠে যাবে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৭ ০৩:৩০
সহযোগিতা: বেলুড় মঠের হাতে ৫১ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিল হাওড়া পুরসভা। রবিবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

সহযোগিতা: বেলুড় মঠের হাতে ৫১ লক্ষ টাকার চেক তুলে দিল হাওড়া পুরসভা। রবিবার। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার

প্রসাদ পেতে বেলুড় মঠে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হবে না ভক্তদের। দশ হাজার ভক্ত একসঙ্গে বসে খেতে পারবেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের তৈরি ওই পাঁচ তলা কমিউনিটি ডাইনিং-এ। গঙ্গার ধারে বেলুড় মঠের জল প্রকল্পের ভিতরে তৈরি হচ্ছে ‘সারদা সদাব্রত’ নামের ওই ভবন। বেলুড় মঠ সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই একটি তলা চালু হয়েছে। এ বছরের শেষে পুরো কাজ শেষ হবে।

অত্যাধুনিক ভবনে খাবার জায়গা ২৭,৭৯০ বর্গফুট এবং রান্নার জন্য ১২, ৯৭০ বর্গফুট। মোট খরচ হচ্ছে ৫০ কোটি টাকা। হাওড়া পুরসভা এক কোটি এক লক্ষ টাকা দিয়েছে। এ দিন মেয়র রথীন চক্রবর্তী ৫১ লক্ষ টাকার একটি চেক তুলে দেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দের হাতে। মেয়র বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী বেলুড় মঠে দাঁড়িয়ে মিশনের সব কাজে সহযোগিতার হাত বাড়াতে আমাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। অত্যাধুনিক রান্নার ব্যবস্থা তৈরিতে আগেই ৫০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। এ বার বাকিটা দিলাম।’’ মেয়র আরও জানান, প্রাকৃতির বিপর্যয়ের সময়ে মঠের তরফে এই ভবন থেকে দুর্গতদের কাছে রান্না খাবার পৌঁছে দেওয়াও সহজ হবে।

বেলুড় মঠ সূত্রের খবর, পুরো ভবন চালু হলে রাতেও প্রসাদ পাবেন ভক্তেরা। দু’বেলাই নিখরচায় তা পাওয়া যাবে। সৌরবিদ্যুৎ চালিত অত্যাধুনিক এবং লিফট। বেলুড়ের ব্যাটারিচালিত গাড়ি প্রয়োজনে র‌্যাম্পের মাধ্যমে উপরে উঠে যাবে। একশো জন রাঁধুনির এই রান্নাঘরে ন’হাজার রুটি করতে লাগবে এক ঘণ্টা এবং ৮০০ কেজি চাল ফুটবে ৪০ মিনিটে। রান্নার পরে খাবারের নমুনা যাবে পাশে থাকা পরীক্ষাগারে। যন্ত্রে জীবাণুমুক্ত করা হবে খাওয়ার বাসন। বেলুড় মঠ সূত্রের খবর, দক্ষিণ ভারতীয় ভক্তদের কথা ভেবে ধোসা-ই়ডলিও থাকবে প্রসাদের তালিকায়। ভবনের বেকারিতে তৈরি কেক-বিস্কুট বিলি করা হবে দর্শনার্থীদের। দু’টি ব্যাটারিচালিত অ্যাম্বুল্যান্স ও চিকিৎসকও রাখা থাকবে বলে বেলুড় মঠ সূত্রের খবর।

এ দিনের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে ভবনটি ঘুরে দেখেন হাওড়ার পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ, বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া, মেয়র পারিষদ গৌতম চৌধুরী প্রমুখ। স্বামী সুবীরানন্দ বলেন, ‘‘প্রতি দিন হাজারো দর্শনার্থী আসেন বেলুড় মঠে। উৎসবের সময়ে সেই সংখ্যাটা কয়েক লক্ষ হয়। তাঁদের সুবিধার্থেই এই বিশাল কমিউনিটি ডাইনিং-এর পরিকল্পনা।’’

Belur Math Community Dining Hall Sarada Sadabrata বেলুড় মঠ রামকৃষ্ণ মঠ
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy