Advertisement
E-Paper

পিএম টু ডিএম, বাদ কেন সিএম!

মঙ্গলবার সকালে দিল্লি থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক জেলার উপভোক্তাদের সঙ্গে বসার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সঙ্গে থাকার কথা জেলাশাসকদের।

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০১৮ ০৪:৩২
নরেন্দ্র মোদী।

নরেন্দ্র মোদী।

আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছেন এমন উপভোক্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে চান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ, মঙ্গলবার সকালে দিল্লি থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের প্রত্যেক জেলার উপভোক্তাদের সঙ্গে বসার কথা প্রধানমন্ত্রীর। সঙ্গে থাকার কথা জেলাশাসকদের। ব্যতিক্রম অবশ্য পশ্চিমবঙ্গ। মোদীর আবাস-চর্চায় যোগ দেবেন না এ রাজ্যের উপভোক্তারা। কারণ, ‘পিএম-ডিএম’ সরাসরি চর্চায় যেভাবে ‘সিএম’কে ব্রাত্য করা হচ্ছে, তা মানবে না নবান্ন।

ইতিমধ্যেই ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়ার মুদ্রা যোজনা, বিনামূল্যে এলপিজি সংযোগের উজালা যোজনার উপভোক্তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সব সুবিধা বিলি হয়েছে সরাসরি কেন্দ্রীয় সংস্থার মাধ্যমে। ফলে উপভোক্তাদের সঙ্গে চর্চা হয়েছে নির্বিঘ্নে। এ বার প্রধানমন্ত্রীর দফতর অন্যান্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উপভোক্তাদের নিয়ে চর্চার আসর বসাতে উদ্যোগী হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি প্রাপকদের সঙ্গে তাই বার্তালাভ বলে জানিয়েছেন এক কেন্দ্রীয় কর্তা।

২৮ মে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের গ্রামীণ আবাসের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম-সচিব প্রশান্ত কুমার রাজ্যকে চিঠি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার কথা জানান। বলা হয়, ৫ জুন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে মোদী প্রতিটি জেলার অন্তত ১৫ জন উপভোক্তার সঙ্গে কথা বলতে চান। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে পাকা বাড়ি পাওয়া মানুষের অভিজ্ঞতা শুনবেন তিনি। কেন্দ্র জানিয়েছিল, অসম, মহারাষ্ট্র, ছত্তিশগড়, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাডু, হিমাচলপ্রদেশের উপভোক্তারাই নিজেদের কথা প্রধানমন্ত্রীকে বলতে পারবেন। বাকি জেলার উপভোক্তারা শুধু প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনবেন। সেই হিসাবে রাজ্যের ২১ জেলার উপভোক্তারা অংশ নিলে তাঁদের কেবল প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনতে হত।

রাজ্য পঞ্চায়েত দফতর জানাচ্ছে, ২০১৭-১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রায় ৪৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। এর মধ্যে ২৮০০ কোটি টাকা দিচ্ছে কেন্দ্র। বাকি টাকা দেওয়ার কথা রাজ্যের। নিজেরা টাকা দেওয়ায় রাজ্য প্রকল্পটির নাম বদলে বাংলা আবাস যোজনাও করে দিয়েছে। বরাদ্দ টাকায় গত আর্থিক বছরে ৩ লক্ষ ৭৪ হাজার ৬২৯টি বাড়ি তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। বছর শেষে বাড়ি তৈরি হয়েছে ২ লক্ষ ২৯ হাজার ৩৪১টি। এক পঞ্চায়েত কর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রীর বার্তালাপে যোগ দেওয়া হবে কি না, তা জানতে চেয়ে নবান্নের অনুমতি চাওয়া হয়। অনুমতি আসেনি। ফলে কোনও জেলাশাসক বা উপভোক্তা অংশ নিচ্ছেন না। কেন? পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই প্রকল্পে প্রায় অর্ধেক টাকা দেয় রাজ্য। তা হলে উপভোক্তাদের সঙ্গে একা প্রধানমন্ত্রী বসবেন কেন? মুখ্যমন্ত্রীকেও ডাকা উচিত ছিল। তা যখন হয়নি, অনুষ্ঠান বয়কট করা ছাড়া উপায় নেই।’’

Narendra Mod Mamata Ban State Government Pradhan Mantri Awas Yojana
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy