Advertisement
E-Paper

কলা বিভাগের ডিন বাছাই ঘিরে ঘোর বিতর্ক কলকাতায়

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ডিন অব আর্টস বাছাই প্রক্রিয়ায় তিন জনকে নিয়ে কমিটি গড়া হয়েছিল। কিন্তু সেই কমিটির এক সদস্যের ডিন বাছাইয়ের যোগ্যতাই নেই বলে অভিযোগ উঠছে বিশ্ববিদ্যালয় মহলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:০৪
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।—ফাইল চিত্র।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।—ফাইল চিত্র।

বাছাই কমিটির এক সদস্যের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তো উঠছেই। সেই সঙ্গেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা বিভাগের ডিন বাছাই ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। যে-পদ্ধতিতে এই বাছাইয়ের কাজ করা হয়েছে, তাতে ভ্রান্তি রয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে অনেকের অভিমত। বাছাইয়ের পরে যাঁর নাম সকলের আগে রয়েছে, তিনি বিজেপি-ঘনিষ্ঠ বলে অভিযোগ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ডিন অব আর্টস বাছাই প্রক্রিয়ায় তিন জনকে নিয়ে কমিটি গড়া হয়েছিল। কিন্তু সেই কমিটির এক সদস্যের ডিন বাছাইয়ের যোগ্যতাই নেই বলে অভিযোগ উঠছে বিশ্ববিদ্যালয় মহলে। ওই সদস্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। সরকারি কলেজে অ্যাসোসিয়েট প্রফেসরের পদে থাকাকালীন তিনি রেজিস্ট্রার হন। কলা বিভাগের ডিন নিয়োগের জন্য যথাযথ ভাবে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিকের বক্তব্য, কাজটা করা হয়েছে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে। ডিন হতে হলে প্রফেসর হতেই হবে। এবং অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর হয়ে কেউ কোনও ডিন বাছাই কমিটির সদস্যপদ পেতে পারেন না।

কয়েক মাস আগে ভারপ্রাপ্ত ডিন অব আর্টস হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ অ্যান্ড সাউথ-ইস্ট এশিয়ান স্টাডিজের শিক্ষিকা লিপি ঘোষকে মনোনীত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে তখনই শোনা গিয়েছিল, তিনি সঙ্ঘ পরিবারের ঘনিষ্ঠ। বৃহস্পতিবার বিজেপির অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে এক দল প্রতিনিধি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা বেহাল বলে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ করেন তাঁরা। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির নীতি নির্ধারক সংস্থায় নির্বাচিত প্রতিনিধি না-থাকা— সব কিছুই জানানো হয় রাজ্যপালকে। দল বদলে তৃণমূলে আসার পরের দিনেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে রাজ্যের তরফে ‘শিক্ষারত্ন’ দেওয়ার বিষয়টিও ধনখড়কে জানানো হয়েছে। সেই দলের প্রতিনিধিদের নামের যে-তালিকা সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয়েছিল, তাতে লিপিদেবীর নাম ছিল। তবে তিনি ওই বৈঠকে যাননি।

এমন এক ব্যক্তিকে ডিন অব আর্টসের স্থায়ী পদে আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগকে ঘিরে বিস্ময় ছড়িয়েছে। এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজ করা সত্ত্বেও তাঁর কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।

Calcutta University Dean Arts Department
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy