সোশ্যাল মিডিয়ায় সাজানো ছবি পোস্ট করে উত্তেজনা ছড়ানো হচ্ছে বলে শনিবারই সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাষ্ট্রপতি পদে এনডিএ-র প্রার্থী রামনাথ কোবিন্দের নামে কিছু টুইট ঘিরে বিতর্ক বাধল। দফায় দফায় টুইট করে পশ্চিমবঙ্গে মমতার সরকারেরই প্রবল সমালোচনা করা হয়েছে কোবিন্দের নামে! রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী কী ভাবে এমন মন্তব্য করেন, প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। টুইটের দায় পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু কোবিন্দের নামে ‘ভুয়ো প্রচার’ ঠেকাতে তা হলে তাঁরা কেন পদক্ষেপ করছেন না, তার কোনও সদুত্তর মেলেনি।
কোবিন্দের নামে একাধিক টুইট হ্যান্ড্ল থেকে রবিবার পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতির কড়া সমালোচনা আসতে থাকে। তার একটি নমুনা— ‘‘প্রতিবেশী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন জেহাদি কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণে সক্রিয়, পশ্চিমবঙ্গের সরকার তখন ওই ধরনের কাজে মদত দিচ্ছে!’’ পাল্টা টুইট করে তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন প্রশ্ন তোলেন, ওই হ্যান্ডলের মালিক কি আদৌ কোবিন্দ? ডেরেকের সঙ্গে টুইট-তরজা চলতে চলতেই একটি হ্যান্ড্ল আবার এনডিএ প্রার্থীর ‘ফ্যান পেজে’র নামে বদলে যায়!
ঘটনার কথা জেনেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীও। দিল্লিতে কাল, মঙ্গলবার উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলগুলির বৈঠকে তৃণমূল বিষয়টি তুলবে। ডেরেক বলেন, ‘‘ভুল স্বীকার করে টুইট সরিয়ে নিলে আমরা মেনে নিতাম। কিন্তু লাগাতার টুইট হয়েছে এবং সঙ্ঘের মুখপত্রের সম্পাদক ও অন্য নেতারা কিছু রি-টুইটও করেছেন।’’ বসিরহাট নিয়ে ভুয়ো ছবি পোস্টের অভিযোগে বিজেপি-র মুখপাত্র নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নিচ্ছে তৃণমূল।
বিজেপি-র তরফে অবশ্য দাবি, রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীর এমন কোনও টুইট হ্যান্ডল নেই। তা হলে কারা করছে, চিহ্নিত করে তাঁরা ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন? বিজেপি-র কেন্দ্রীয় আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যের বক্তব্য, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় কে কী করছে, খুঁজে বার করা আমাদের কাজ নয়। মমতা ও সব পারেন!’’ তবে বিরোধীরা মনে করছে, বিজেপি-রই প্রভাবিত সংগঠন ও ব্যক্তিরা এমন প্রচারের হোতা!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy