Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Jagdeep Dhankhar

রাজ্যপাল ছাড়াই সমাবর্তন পঞ্চানন বর্মায়

কোনও বার্তাই এল না রাজভবন থেকে।

জগদীপ ধনখড়। —ফাইল চিত্র

জগদীপ ধনখড়। —ফাইল চিত্র

নমিতেশ ঘোষ
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:৩৪
Share: Save:

কোনও বার্তাই এল না রাজভবন থেকে। তাই রাজ্যপাল তথা আচার্য জগদীপ ধনখড়ের নাম ছাড়াই ছাপা হল কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের আমন্ত্রণপত্র।

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান। শনিবার আমন্ত্রণপত্র ছাপানো হয়েছে। তাতে অনুষ্ঠানে উপস্থিতির তালিকায় নাম রয়েছে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ রাজ্যের চার মন্ত্রী এবং বিজ্ঞানী শিবাজী রাহার। কেন রাজ্যপালের নাম নেই, সেই প্রশ্নে শুরু হয়ে যায় গুঞ্জন। সাম্প্রতিক সময়ে রাজ্যপাল-রাজ্য সরকারের বিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে বারবার। তাই সমাবর্তনে তাঁর অনুপস্থিতি এখন কোচবিহারের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, সমস্ত আইন মেনেই রাজ্যপাল তথা আচার্যকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁর অনুমতির জন্য অপেক্ষাও করা হয়েছিল। কিন্তু অনুমতি না পাওয়ায় তাঁর নাম ছাড়াই আমন্ত্রণপত্র ছাপা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, “অনুমতি ছাড়া আমরা আচার্যের নাম ছাপাতে পারি না। তাই কার্ডে রাখা হয়নি। তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি সমাবর্তনে যোগ দিলে আমরা সব থেকে বেশি খুশি হব।” বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, রাজ্যপাল তথা আচার্য সমাবর্তনে যোগ দেবেন না, ধরে নিয়েই সমস্তরকম প্রস্তুতি নিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে আচার্যের কাজের দায়িত্ব পালন করবেন উপাচার্য। আইনে এমনটাই উল্লেখ করা রয়েছে। এর আগে দু’টি সমাবর্তনেই রাজ্যপাল তথা আচার্য উপস্থিত ছিলেন। এবারে এখনও তাঁর কোনও অনুমতি না পাওয়া যাওয়ায় কিছুটা হলেও হতাশ বিশ্ববিদ্যালয়। অনেকেরই বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের মতো অনুষ্ঠানে আচার্য থাকবেন না, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। অনেকে এখনও তাঁর আসবেন বলে আশায় রয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবার থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, প্রত্যেক বছর পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনেই সমাবর্তন অনুষ্ঠান করা হবে। সেই মতোই ১৪ ফেব্রুয়ারি তারিখ ঠিক হয়েছে। কোচবিহারের উৎসব অডিটোরিয়ামে ওই অনুষ্ঠান হবে। এবার থেকেই সমাবর্তনে ‘পঞ্চানন বর্মা স্মারক সম্মান’ দেবে বিশ্ববিদ্যালয়। এবারে ওই সম্মান তুলে দেওয়া হবে প্রসেনজিৎ বর্মণকে। প্রাক্তন সাংসদ প্রসেনজিৎ বর্মণের সামাজিক অবদানের কথা মাথায় রেখেই বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি তাঁকে ওই সম্মান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সমাবর্তনে ৩৯ জন ছাত্রছাত্রীকে স্বর্ণপদক এবং ৪৪ জনকে রৌপ্যপদক দেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE