Advertisement
E-Paper

অজমের-ফেরতদের নিভৃতবাস নিয়ে প্রশ্ন

চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন, একফালি ঘরে পরিবারের সকলের মধ্যে নিভৃতবাস সম্ভব নয়। তা ছাড়া, কারও শরীরে করোনাভাইরাস থেকে থাকলে তা অন্য জনের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২০ ০৩:৪২
প্রত্যাবর্তন: অজমের থেকে বাংলার শ্রমিক ও পর্যটকদের দল ফিরল। মঙ্গলবার সকালে ডানকুনিতে। ছবি: দীপঙ্কর দে

প্রত্যাবর্তন: অজমের থেকে বাংলার শ্রমিক ও পর্যটকদের দল ফিরল। মঙ্গলবার সকালে ডানকুনিতে। ছবি: দীপঙ্কর দে

অজমের থেকে বিশেষ ট্রেনে মঙ্গলবার রাজ্যে ফিরেছেন ১১৮৬ জন। তাঁদের মধ্যে ৩১ জন হুগলির বাসিন্দা। সেই দলের বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। সামান্য একচিলতে ঘরে পরিবার নিয়ে বসবাস প্রান্তিক মানুষগুলোর। কিন্তু প্রশাসন তাঁদের এখন নিভৃতবাসে থাকার নির্দেশ দেওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, কী ভাবে থাকবেন তাঁরা?

চিকিৎসকদের একাংশ মনে করছেন, একফালি ঘরে পরিবারের সকলের মধ্যে নিভৃতবাস সম্ভব নয়। তা ছাড়া, কারও শরীরে করোনাভাইরাস থেকে থাকলে তা অন্য জনের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে। জেলা প্রশাসনের এক কর্তার দাবি, ৩১ জনের কেউই তাঁদের ‘গৃহবন্দি’ থাকার সমস্যার কথা জানাননি। জানালে সে ক্ষেত্রে প্রশাসন ব্যবস্থা নিত। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘৩১ জনেরই কোভিড পরীক্ষা করা হবে। সকলেরই এ দিন লালারসের নমুনা নেওয়া হয়েছে। মোবাইলে প্রত্যেকের সঙ্গে প্রতিদিন দফতরের পক্ষ থেকে যোগাযোগ রাখা হবে। কারও কোনও সমস্যার কথা জানতে পারলেই তাঁকে সরাসরি হাসপাতালে ভর্তি করানো হবে। যথেষ্ট সর্তকতার সঙ্গেই কাজ করা হচ্ছে।’’

এ দিন ডানকুনিতে একদফা স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরে হুগলির ওই ট্রেনযাত্রীদের বাসে করে প্রথমে ধনেখালির মহেশ্বরপুর হাইস্কুলে আনা হয়। সেখানে সকলের লালরসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। চিকিৎসকেরা তাঁদের বাড়িতে নিভৃতবাসের নিয়মকানুন জানিয়ে দেন। ওই যাত্রীদের প্রশ্ন করা হলে সকলেই বাড়িতেই থাকার পক্ষে সওয়াল করেন।

ওই যাত্রীদের পক্ষে পেশায় শ্রমিক শেখ আবুজার বাড়ি শ্রীরামপুরের মিল্কি বাদামতলায়। তিনি বলেন, ‘‘বাড়িতে কিছু সমস্যা থাকবেই। কিন্তু চিকিৎসকেরা যখন বলেছেন, তখন বাড়িতেই থাকবে হবে। এতদিন পরে বাড়ি ফিরলাম। অন্য কোথাও যাব না।’’

হরিপালের অনন্তপুরের বাসিন্দা শেখ মফিজের গলাতেও একই সুর। তিনিও বলেন, ‘‘আমার কোনও শারীরিক সমস্যা নেই। তবে চিকিৎসকেরা বাড়িতেই থাকতে বলেছেন। কিছু সমস্যা হয়তো হবে। তবে বাড়িতেই থাকব। বাড়ির সবাই মানিয়ে নেবেন।’’

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy