মঙ্গলবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মহাপাত্রপাড়ায়। ছবি: শুভ্র মিত্র
কোথাও খোলা। কোথাও আবার ঝাঁপ বন্ধ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরেও জেলায় জেলায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলোয় এমনই ছবি দেখা গেল। নির্দিষ্ট নির্দেশিকা না পৌঁছনোয় মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো অঙ্গনওয়াড়ির উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি চাল-আলু পৌঁছে দেওয়ার কাজ মঙ্গলবার শুরু হয়নি।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিও ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা উপভোক্তাদের বাড়িতে গিয়ে দু’কেজি করে চাল-আলু পৌঁছে দেবেন বলেও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে রাজ্যের অধিকাংশ জেলাতেই এই মর্মে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা পৌঁছয়নি। মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরের বহু জায়গাতেই অঙ্গনওয়াড়ি খোলা ছিল। একই ছবি দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারেও। যেখানে অঙ্গনওয়াড়ি বন্ধ ছিল, সেখানে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছনো হয়নি। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও এক ছবি। রোজকার মতোই মঙ্গলবারও মায়েরা শিশুদের নিয়ে এসেছিলেন হাওড়ার বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়িতে। অনেক জায়গাতেই অঙ্গনওয়াড়ি বন্ধ থাকায় খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে তাঁদের। পুরুলিয়ার জেলা প্রকল্প আধিকারিক অঞ্জুম রহমান বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে এ দিন থেকেই জেলার অধিকাংশ আইসিডিএস বন্ধ। তবে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে কোনও নির্দেশ পাইনি।’’ নদিয়ার কিছু জায়গায় অবশ্য অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা নিজেরা খাবার রান্না করে শিশু ও প্রসূতিদের বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন।
ঝাড়গ্রাম, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুরের নানা প্রান্তে আবার এ দিন খোলা ছিল অঙ্গনওয়াড়ি। বাঁকুড়াতেও এক ছবি। তবে টানা অঙ্গনওয়াড়ি বন্ধের খবরে চিন্তায় অনেকেই। মুর্শিদাবাদে অবশ্য রাতে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পৌঁছেছে বলে খবর। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন জানান, ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বরাদ্দ এককালীন চাল-আলু আজ, বুধবার পৌঁছে দেওয়া হবে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনও জানাচ্ছে, চাল-আলু মজুত রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy