Advertisement
E-Paper

করোনা আতঙ্কে সরকারি হাসপাতালে চাপ বাড়ছে, প্রাইভেট ল্যাবগুলিকে দ্রুত পরীক্ষার অনুমতির আবেদন মমতার

প্রতিদিনই সরকারি হাসপাতালে চাপ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাইভেট সংস্থাগুলিকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২০ ১৯:৫৩
মেডিক্যাল ল্যাবের প্রতীকী চিত্র। ছবি-রয়টার্স।

মেডিক্যাল ল্যাবের প্রতীকী চিত্র। ছবি-রয়টার্স।

রাজ্যে ক্রমশই বাড়ছে ‘গৃহ নজরবন্দি’র সংখ্যা। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় দু’জন বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তিও রয়েছেন। প্রতিদিনই সরকারি হাসপাতালে চাপ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাইভেট সংস্থাগুলিকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাইভেট ল্যাবরেটরিতে করোনাভাইরাসের টেস্ট থেকে শুরু করে বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর চিকিৎসা— এ বিষয় কেন্দ্রকে আরও উদ্যোগী হতে বললেন মমতা। পরীক্ষার জন্যে কিট পাওয়া যাচ্ছে না বলেও তাঁর অভিযোগ।

এ দিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন মমতা। তার পর নবান্ন থেকে তিনি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “করোনাভাইরাসের জন্যে প্রয়োজনীয় কিট পাওয়া যাচ্ছে না। এখনও পর্যন্ত আইসিএমআর বেসরকারি ল্যাবগুলিকে পরীক্ষার অনুমতি দেয়নি। গাইডলাইন না এলে, বেসরকারি হাসপাতাল এবং ল্যাবগুলি পরীক্ষা বিষয় এগোতে পারছে না। এ বিষয়ে কেন্দ্রকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।”

তিনি রাজ্যবাসীর উদ্দেশে বলেন, “ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা সব দিকে নজর রাখছি। ভিড় এগিয়ে চলুন। চারদিন বাড়ির বাইরে না বেরলে কী হবে? আপনাদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই এ সব বলছি। রেস্তরাঁ, বাজারে গেলে ভিড় এড়িয়ে চলুন।”

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই রবিবার ‘জনতা কার্ফু’ ঘোষণা করেছেন। আগামী রবিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাড়ি থেকে না বেরনোর অনুরোধ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীও ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি ধর্মগুরুদের তিনি অনুরোধ করেন, “আপনারা ভিড় করবেন না। একসঙ্গে বহু লোকের ভিড় জমতে দেবেন না দয়া করে। নিজেকে বাঁচান। পরিবারকে বাঁচান। পরিবার ভাল থাকলে রাজ্য ভাল থাকবে। দেশ ভাল থাকবে।”

আরও পড়ুন: বিদেশ থেকে ফিরলেই বাধ্যতামূলক কোয়রান্টিন

মুখ্যমন্ত্রীর বলেন, “চিকেন পক্স হলে কি করতাম আমরা? এ ক্ষেত্রে তেমনই করতে হবে। আলাদা থাকব। থালা-বাসন আলাদা করবে। এর সঙ্গে আমরা ঘণ্টায় ঘণ্টায় সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।”

হ্যান্ড সানিটাইজার, মাস্ক, গ্লাভস পাওয়া যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ উঠছে। তিনি বলেন, “মাস্ক, স্যানিটাইজার, পিপিই (একবার ব্যবহারযোগ্য আবরণ) পাচ্ছি না ঠিকই। সেগুলো আমাদের চাই। রাজ্যেও অসংগঠিত ক্ষেত্রে মাস্কও তৈরি হচ্ছে। গ্লাভস আসছে। পিপিই আসছে। সেগুলি প্রথমে হাসপাতালে দেব। তার পর পুলিশ, কলকাতা পুরসভা, সবাইকে দেওয়া হবে। হাসপাতালে আইসোলেশন বেড বাড়ছে। রাজারহাটে কোয়রান্টিন সেন্টারে ঘরের মতোই রাখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: করোনা সতর্কতায় এ বার সরকারি হাসপাতালেও শুরু থার্মাল স্ক্যানিং

Coronavirus Mamata Banerjee Kolkata
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy