Advertisement
E-Paper

আজ থেকে রাজ্যে চালু কোভিড পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম

এমআর বাঙুর, মেডিক্যাল কলেজ-সহ কলকাতার তিনটি কোভিড হাসপাতালকে এই ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২০ ১৭:৫৯
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

রাজ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কোভিড রোগীদের স্বাস্থ্যের অবস্থা পরিবারের সদস্যদের জানাতে কোভিড পেশেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালুর কথা আগেই ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। আজ সোমবার থেকে সেই সিস্টেম কাজ করা শুরু করল বলে নবান্নে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ। তিনি জানান, এমআর বাঙুর, মেডিক্যাল কলেজ-সহ কলকাতার তিনটি কোভিড হাসপাতালকে এই ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

মুখ্যসচিব এ দিন জানিয়েছেন, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটে গেলেই রোগীদের স্বাস্থ্যের অবস্থা জানার একটি পেজ থাকবে। সেখানে রোগীর নাম লিখলে, হাসপাতালে তাঁকে ভর্তির সময় যে ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছিল, সেই নম্বরে একটি ওটিপি বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড আসবে। সেই ওটিপি দিলে রোগী সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য জানা যাবে। মুখ্যসচিব ব্যাখ্যা করে বলেন, রোগীর স্বাস্থ্যের কী রকম অবস্থা, সঙ্কটজনক না অনেকাংশে সুস্থ, রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে কি না, রোগীর রক্তচাপ কত, জ্বর আছে কি না, থাকলে তাপমাত্রা কত— সব রকম তথ্য আপডেট করা হবে। রাজীব সিংহ এ দিন আশাপ্রকাশ করেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে রাজ্যের ৮৪টি কোভিড হাসপাতালকেই এই পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে। গোটা দেশে এই রোগী ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি প্রথম বলে দাবি করেন মুখ্যসচিব।

সেই সঙ্গে এ দিন তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা মোট বেডের অনুপাতে মাত্র ৩৫ শতাংশ। অর্থাৎ এখনও অধিকাংশ শয্যা ফাঁকা। আতঙ্কের কিছু নেই।’’ তিনি এ দিন জানিয়েছেন, কোভিড নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়িয়ে প্রায় ৩৪ হাজারে বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং আরও বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। প্রতি ১০ লাখ জনসংখ্যায় এ রাজ্যের নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিশ্ব স্বূাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রার দ্বিগুণের বেশি বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে প্রতি ১০ লাখ জনসংখ্যায় ৩৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। সেখানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মাত্রা ১৪০ জন।”

আরও পড়ুন: পাঁচিল নিয়ে তাণ্ডব, বিশ্বভারতী বন্ধ ।। সব নির্মাণ সৌন্দর্য বাড়ায় না: মমতা

আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত পরিচালক রাজ চক্রবর্তী

কোভিড পেশেন্ট ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি গত কয়েকদিনে প্রায় ১১ লাখ মানুষ হেল্পলাইনের মাধ্যমে সহায়তা পেয়েছেন। প্রায় ৭৮ হাজার রোগী রাজ্য সরকারের তৈরি টেলিমেডিসিন হেল্পলাইনের মাধ্যমে সহায়তা পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। ওই টেলিমেডিসিন হেল্পলাইনে ৩টি শিফ্টে ৯৬ জন চিকিৎসক কাজ করছেন। গত ১৫ দিনে সরকারি হেল্পলাইনে প্রায় ২০ হাজার মানুষকে মনোবিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, যাতে তাঁরা কোভি়ডের কারণে তৈরি অবসাদ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

Coronavirus in West Bengal COVID Management System Coronavirus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy