Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

চিহ্নিতকরণে দেরিতেই কি কমছে না আইসিইউ-শয্যা?

স্বাস্থ্য কর্তাদের বিশ্লেষণ, গত দেড় মাসে আইসিইউ শয্যা ২৫০টি বাড়ানো হলেও শয্যা খালি হচ্ছে না।

ছবি পিটিআই।

ছবি পিটিআই।

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৫৮
Share: Save:

নমুনা পরীক্ষা বাড়লেও মাস খানেক ধরে প্রতিদিন গড়ে নতুন আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা কার্যত একটি গণ্ডির মধ্যে রয়েছে। তবুও রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বস্তিতে নেই স্বাস্থ্য দফতর। কারণ, আক্রান্তদের অধিকাংশ সুস্থ হয়ে গেলেও সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে করোনার আইসিইউ শয্যা ফাঁকা থাকছে না। হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের অনেককেই আইসিইউয়ে রাখতে হচ্ছে। যা আদতে সংক্রমণ না-কমা এবং সময়ে আক্রান্তদের চিহ্নিত না হওয়ার সূচক বলেই মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

স্বাস্থ্য ভবন জানাচ্ছে, ১১ জুলাই রাজ্যে ৯৪৮টি আইসিইউ শয্যা এবং ৩৪৫টি ভেন্টিলেটর ছিল। মোট কোভিড শয্যা ছিল ১০ হাজার ৮৪০। সে দিন হাসপাতালের ২৬% শয্যা ভর্তি ছিল। ১১ অগস্ট রাজ্যে ৯৪৮টি আইসিইউ শয্যার পাশাপাশি ভেন্টিলেটর ছিল ৭১৫টি। ১১ হাজার ৭৭৫ করোনা শয্যার ৩৭.১% ভর্তি ছিল। ১১ সেপ্টেম্বর রাজ্যে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা বেড়ে ১২৪৩ এবং ভেন্টিলেটরের সংখ্যা ৭৯০ হয়েছে। ১২ হাজার ৫০৫টি কোভিড শয্যার ৩২.৪৮% এখন ভর্তি রয়েছে।

স্বাস্থ্য কর্তাদের বিশ্লেষণ, গত দেড় মাসে আইসিইউ শয্যা ২৫০টি বাড়ানো হলেও শয্যা খালি হচ্ছে না। যার অর্থ, রোগীদের ঠিক সময়ে খুঁজে বের করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে আক্রান্তের সংক্রমণ বেড়ে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তা ধরা পড়ছে। সে সময় তাঁদের আইসিইউ শয্যায় অক্সিজেন নির্ভর করে রাখা বা ক্রমে ভেন্টিলেটরে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকছে না। যাঁদের সংক্রমণের শুরুতেই রোগ ধরা পড়ছে তাঁরা দ্রুত সুস্থ হচ্ছেন।

আরও পড়ুন: করোনায় প্রাণ গেল রোগী-বন্ধু ডাক্তারের

প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘আইসিইউ শয্যা ও ভেন্টিলেটর বাড়ানো না-হলে হাহাকার পড়ে যেত। যে দিন জটিল রোগীর সংখ্যা কমবে, সে দিনই আশ্বস্ত হয়ে বলতে পারব সংক্রমণ কমছে।’’ প্রশ্ন উঠেছে, তা হলে আশা কর্মীরা ২০ কোটি বাড়িতে গিয়ে যে সাড়ে ৯ লক্ষ জ্বর এবং প্রায় ১০ হাজার তীব্র শ্বাসকষ্টের বা ‘সারি’ উপসর্গের রোগী চিহ্নিত করেছিলেন, তাঁদের কী পর্যবেক্ষণ বা পরীক্ষা করা হয়নি? স্বাস্থ্য ভবন এ নিয়ে নীরব। তবে একাংশের বক্তব্য, জেলাস্তরে সে সব হলেও চিহ্নিতকরণে ঢিলেমি থাকছে। তাই এখন ট্র্যাকিংয়ে জোর দিতে বাড়তি উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

আরও পড়ুন: স্ত্রী করোনা পজিটিভ হয়ে আইডিতে, কোয়রান্টিনে সূর্যকান্ত মিশ্র

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE