বিধানসভার অধিবেশন শুরুর আগে বিধায়কদের করোনা পরীক্ষা। বুধবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ায় বিধানসভা থেকে ফিরে যেতে হল মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির তৃণমূল বিধায়ক আব্দুর রজ্জাককে। বুধবার অধিবেশনে যোগ দিতে এসে বিধানসভায় অ্যান্টিজ়েন পরীক্ষায় তাঁর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। প্রথমে বিধায়কদের আবাসনে চলে গেলেও পরে তাঁকে বাড়িতে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
ছ’মাসের মধ্যে অধিবেশন করার সাংবিধানিক দায়বদ্ধতার কারণেই বুধবার মাত্র এক দিনের জন্য বসেছিল বিধানসভা। মূলত শোকপ্রস্তাব পাঠ করেই অধিবেশনের কাজ শেষ করে দেওয়া হয়।
করোনা-আবহে অধিবেশন ঘিরে যাবতীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। বিধানসভা সূত্রে খবর, বিধানসভা চত্বরে থাকা সকলেরই করোনা পরীক্ষা হয়েছে। এ দিন অধিবেশনে যাওয়ার আগে আর পাঁচ জন বিধায়কের মতো রজ্জাকেরও নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আর তখনই ধরা পড়ে তিনি করোনা-আক্রান্ত। তাঁকে অধিবেশনে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। বিধানসভা থেকে তিনি সরাসরি চলে যান কিড স্ট্রিটে বিধায়ক আবাসে। তাতে অন্য বিধায়কদের মধ্যে ভয় তৈরি হয়। বিষয়টি জানতে পেরে রজ্জাকের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁকে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে হাসপাতাল অথবা সেফ হোমে যাওয়ার কথা বলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, রজ্জাকের নিরাপত্তারক্ষীর শরীরেও সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
এ দিনের অধিবেশনে মূল শোকপ্রস্তাবের সঙ্গে প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি আলাদা প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। সেই প্রস্তাবে তাঁর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক জীবনের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। স্পিকার তা পড়েছেন। পরে এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে।
এ দিন আধ ঘণ্টার জন্য অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংখ্যায় কম হলেও এসেছিলেন বেশ কয়েক জন মন্ত্রী ও বিধায়ক। তাঁদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল শারীরিক দূরত্ববিধি মেনেই। সাধারণত মুখ্যমন্ত্রীর পাশের আসনটি ফাঁকা থাকে। এ দিন দু’টি আসন ফাঁকা রাখা হয়। তা ছাড়া, অন্য বিধায়কদের একাংশকে বসানো হয় সভাকক্ষে। অন্য একাংশকে বসানো হয় দোতলার গ্যালারিতে। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এ দিনের অধিবেশনে উপস্থিত থাকলেও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী ছিলেন না। মঙ্গলবার তাঁর গাড়ির চালকের শরীরে করোনা ধরা পড়ে। তার পরই সুজনবাবু জানিয়ে দেন, নিয়ম মেনে আপাতত নিভৃতবাসে থাকবেন তিনি।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy