গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
রাজ্যে করোনার থেকে সেরে ওঠা রোগীর দৈনিক সংখ্যা ফের ৪ হাজারের বেশি। এই নিয়ে পর পর ৪ দিন। এখনও পর্যন্ত ১ দিনে সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যার ফলে শতাংশের নিরিখে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে সুস্থতার হারও। তবে উদ্বেগ বাড়িয়ে ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হারও ফের ৯ শতাংশের উপরে পৌঁছল। সংক্রমণের জেরে আগের দিনের থেকে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও রাজ্য প্রশাসনের চিন্তা বাড়াচ্ছে সংক্রমণের হার। যদিও নতুন করে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমেছে।
সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, এ দিন রাজ্যে মোট ৪ হাজার ৮৫ জন কোভিড-আক্রান্ত পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ৩০ অক্টোবর থেকেই এই প্রবণতা বজায় রয়েছে। ওই দিন অর্থাৎ গত শুক্রবার করোনা থেকে সেরে ওঠার রোগীর সংখ্যা প্রথম ৪ হাজারের গণ্ডি পার করেছিল। সে দিন রাজ্যে ১ দিনে ৪ হাজার ১৫ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। তার পর ক্রমান্বয়ে সুস্থ রোগীর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৪ হাজার ৪৯ এবং ৪ হাজার ৫৩। তবে এ দিন ওই পরিসংখ্যান ছাপিয়ে ১ দিনে সুস্থ রোগীর সংখ্যা হয়েছে সবচেয়ে বেশি।
সুস্থ রোগীর সংখ্যা বাড়ায় তার প্রভাব পড়েছে দৈনিক সুস্থতার হারেও। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এ দিন তা পৌঁছেছে ৮৮.৫৯ শতাংশে। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
সুস্থ রোগীর সংখ্যা বাড়ায় তার প্রভাব পড়েছে দৈনিক সুস্থতার হারেও। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, এ দিন তা পৌঁছেছে ৮৮.৫৯ শতাংশে। যা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
(গ্রাফের উপর হোভার টাচ করলে দিনের পরিসংখ্যান দেখা যাবে)
দৈনিক যে সংখ্যায় কোভিড রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন, তাতে এক দিকে স্বস্তি জোগালেও ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার পুরোপুরি দুশ্চিন্তামুক্ত রাখছে না রাজ্য প্রশাসনকে। স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব জানিয়েছে, এ দিন সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৯.১৫ শতাংশে। শতাংশের নিরিখে রবিবার তা ছিল ৮.৯৭-এ।
প্রতি দিন যত কোভিড টেস্ট করা হয় এবং তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই বলা হয় ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। তবে গত কাল তা নিম্নমুখী হওয়ার পর এ দিন বিপরীত প্রবণতা দেখা গিয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, আগের দিনের থেকে এ দিন কম সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ হাজার ২৩৭টি টেস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ৩ হাজার ৯৫৭টি।
প্রতি দিন যত কোভিড টেস্ট করা হয় এবং তার মধ্যে প্রতি ১০০ জনে যত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই বলা হয় ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার। তবে গত কাল তা নিম্নমুখী হওয়ার পর এ দিন বিপরীত প্রবণতা দেখা গিয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, আগের দিনের থেকে এ দিন কম সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৩ হাজার ২৩৭টি টেস্ট করা হয়েছে। এর মধ্যে পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে ৩ হাজার ৯৫৭টি।
(গ্রাফের উপর হোভার টাচ করলে দিনের পরিসংখ্যান দেখা যাবে)
স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৮১ হাজার ৬০৮ জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তবে এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮৫ জন। ফলে এই মুহূর্তে রাজ্য জুড়ে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৬ হাজার ৫৭৬।
সুস্থ রোগীর সংখ্যা বাড়লেও ইতিমধ্যেই সংক্রমণের জেরে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৯৫৭ জনের। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ৫৭ জন।
রাজ্যের অন্যান্য জেলার তুলনায় গোড়া থেকে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা রোগীর সংখ্যা বেশি। এ দিনের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় সবচেয়ে বেশি ৮৮২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ঘটেছে। অন্য দিকে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৮৭৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
রাজ্যের অন্যান্য জেলার তুলনায় গোড়া থেকে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা রোগীর সংখ্যা বেশি। এ দিনের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় সবচেয়ে বেশি ৮৮২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ঘটেছে। অন্য দিকে, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ৮৭৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
(গ্রাফের উপর হোভার টাচ করলে দিনের পরিসংখ্যান দেখা যাবে)
কলকাতায় এখনও পর্যন্ত মোট ৮৩ হাজার ৬৪ জন কোভিড রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তবে এ শহরে সংক্রমণের থেকে সেরে উঠেছেন ৭৩ হাজার ৮১২ জন। ফলে এই মুহূর্তে কলকাতায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ১৭। অন্য দিকে, উত্তর ২৪ পরগনায় মোট ৭৭ হাজার ৯৮৫ জনের মধ্যে সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। তার মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬৯ হাজার ৬৬১ জন। ফলে ওই জেলায় ৬ হাজার ৭২২ সক্রিয় রোগী রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সৌমিত্রের রক্তক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে, তবে এখনও সঙ্কট কাটেনি
আরও পড়ুন: বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি শুরু, কমিশনে সর্বদল বৈঠক ৯ নভেম্বর
কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা ছাড়াও গত ২৪ ঘণ্টায় যে সব জেলায় ১০০ বা তার বেশি কোভিড রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, সেগুলি হল— কোচবিহার (১১০), দার্জিলিং (১৫৫), জলপাইগুড়ি (১২৭), নদিয়া (১৭২), বাঁকুড়া (১১৬), পশ্চিম মেদিনীপুর (১৯১), পূর্ব মেদিনীপুর (১৬৮), পূর্ব বর্ধমান (১২২), পশ্চিম বর্ধমান (১০৮), হাওড়া (২০২), হুগলি (১৮৬) এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা।
আরও পড়ুন: অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লোকাল চালানোর ভাবনা, টাইম টেবল প্রকাশ শীঘ্রই
গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনায় ১৩ জন করে কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, হাওড়ায় ৭ জন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৬ জন মারা গিয়েছেন। অন্য দিকে, নদিয়া এবং পশ্চিম বর্ধমানে ৩ জন করে মারা গিয়েছেন। কোচবিহার, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হুগলিতে ২ জন করে সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং পুরুলিয়ায় ১ জন করে রোগী মারা গিয়েছেন।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy