Advertisement
E-Paper

হোটেলের কর্মীদের  টিকা-যজ্ঞ  শুরু রাজ্যে

বিধিনিষেধ ভেঙে জীবনকে ছন্দে ফেরাতে আতিথেয়তা-শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সকলকেই কোভিডের প্রতিষেধক দিতে এগিয়ে আসছেন রাজ্যের হোটেল রেস্তরাঁ কর্ণধারেরা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২১ ০৬:৩৬
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

হোটেল, রেস্তরাঁ, হোমস্টে, ধাবা থেকে শুরু করে অ্যাপের খাবার সরবরাহকারী, টিকা-যজ্ঞে বাদ পড়বেন না কেউ। এমনকি, দরকারে ছোট ভাতের হোটেল বা পাইস হোটেলের কথাও ভাবতে ইচ্ছুক রাজ্যের হোটেল, রেস্তরাঁ সংগঠনের কর্মকর্তারা।

বিধিনিষেধ ভেঙে জীবনকে ছন্দে ফেরাতে আতিথেয়তা-শিল্পের সঙ্গে যুক্ত সকলকেই কোভিডের প্রতিষেধক দিতে এগিয়ে আসছেন রাজ্যের হোটেল রেস্তরাঁ কর্ণধারেরা। এই প্রয়াসে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য পর্যটন দফতর।

আজ, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে এই কর্মসূচি। কলকাতায় পার্ক স্ট্রিটের একটি পাঁচতারা হোটেলে প্রথম দিন ২০০ জন হোটেল, রেস্তরাঁ কর্মীকে ভ্যাকসিন দিয়ে এই উদ্যোগের সূচনা হচ্ছে। এর পরে নিউটাউনের একটি হোটেলেও টিকা দেওয়া হবে। পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের উপস্থিতিতে এই প্রয়াসে হোটেল, রেস্তরাঁ সংগঠনকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করছে রাজ্য সরকার। ঠিক হয়েছে ঘুরে ফিরে রাজ্যের বিভিন্ন হোটেলে টিকা দেওয়া চলবে।

পূর্ব ভারতের হোটেল, রেস্তরাঁ সংগঠনের প্রেসিডন্ট সুদেশ পোদ্দার বলেন, “রাজ্য সরকার দফায় দফায় টিকার জোগান দেবে। অ্যাম্বুলেন্স, ডাক্তার, ভ্যাকসিনেটর অন্য পরিকাঠামোগত ব্যবস্থাপনা আমাদের। এখন আমাদের লক্ষ্য আতিথেয়তা-শিল্পের ৮০ হাজার কর্মচারীকে ভ্যাকসিন দেওয়া। সরকার যেমন টিকা দিতে পারবেন, আমরাও কর্মসূচি ঠিক করব।” ছোট, বড় খাবার দোকান থেকে হোটেলের উদ্দেশে সুদেশবাবুর আহ্বান, এই উদ্যোগের শরিক হতে। সংগঠনের সদস্য ৬০০টি প্রতিষ্ঠানের বাইরেও তাঁরা টিকা দিতে চান। বিভিন্ন হোটেল, রেস্তরাঁ এই উদ্যোগের পরিকাঠামোগত ভার ভাগ করে নিতে এগিয়ে আসছে বলে তিনি জানিয়েছেন। কোভিড-পরিস্থিতিতে জনজীবনে গুরুত্ব বেড়েছে অ্যাপ-নির্ভর খাবার সরবরাহকারীদেরও। হোটেল-রেস্তরাঁ সংগঠনের তরফে ওই অ্যাপ কর্তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। কম-বেশি ১৬-২০ হাজার খাবার সরবরাহকর্মীর কথাও রাজ্য সরকারকে জানিয়েছেন সুদেশবাবুরা। তাঁদেরও টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে।

কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের পরে গত শীতে ভালই ব্যবসা করেছিল রাজ্যের হোটেল, রেস্তরাঁগুলি। তখন জনমানসে আস্থা ফেরাতে স্যানিটাইজেশন বা পরিচ্ছন্নতার দিকটা সব থেকে গুরুত্ব পায়। এখন কিন্তু সবার মাথাব্যথা ভ্যাকসিন। পর্যটন শিল্পের শরিক সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়টিতে জোর দিত বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। হোটেল, রেস্তরাঁর কর্তাদের পরিকল্পনা, দ্রুত সব কর্মচারীকে টিকা দিয়ে সেটা দেওয়ালে লিখে ঘোষণা করা। ১৬ জুন থেকেই সন্ধ্যার কয়েক ঘণ্টা রেস্তরাঁ খুলবে। হোটেলগুলি বা পর্যটনেও কিছু ছাড় মিলতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আতিথেয়তা শিল্পের সবাইকে টিকা দেওয়াই রাজ্যেরও আশু লক্ষ্য।

Hotels Coronavirus in West Bengal COVID19 Corona virus
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy