এত দিন জেলের তাঁতকলে কারাকর্মী ও নিজেদের ইউনিফর্ম বানিয়েছেন বন্দিরা। এ বার তাঁরাই বানাবেন ডিজাইনার পোশাক। আর তা বিক্রি হবে খোলা বাজারে। প্রেসিডেন্সি জেল থেকেই শুরু হচ্ছে এই কর্মযজ্ঞ।
বিষয়টি নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে কলকাতার ফ্যাশন ডিজাইনার অভিষেক দত্তের। তিনিই প্রশিক্ষণ দেবেন। পরের ধাপে কেন্দ্রীয় কারাগারগুলির বন্দিরা এ কাজে হাত পাকাবেন। বছর খানেক ধরেই রাজ্যের সমস্ত জেলের বন্দিরা নিজেরাই নিজেদের ইউনিফর্ম বানান। যাঁদের নজরদারিতে জীবন কাটে, সেই কারাকর্মীদের ইউনিফর্ম তৈরির দায়িত্বও বন্দিদের হাতে দিয়েছে সরকার। প্রথমে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এই কাজে লাগানো হয়েছিল। এখন বিচারাধীন বন্দিদেরও এতে সামিল করা হয়েছে।
এক কারাকর্তা বলেন, ‘‘বছরে দু’টো করে ইউনিফর্ম দেওয়া হয় কারাকর্মীদের। লাগে সাড়ে তিন হাজারের মতো। সবটাই তৈরি করেন বন্দিরা।’’ বন্দিরা যাতে বাড়তি কিছু রোজগার করতে পারেন তার জন্য কলকাতার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছেলেমেয়েদের ইউনিফর্ম তৈরির বরাত এনেছেন কারা কর্তৃপক্ষ। গত ছ’মাস ধরে ওই স্কুলের ১২০০ পোশাক বানাচ্ছেন বন্দিরা। এর বাইরে গামছা, শাড়ি ও বাহারি কার্পেটও তৈরি হয়। সেলাইয়ের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ রয়েছে, এমন ৪০ জন বন্দিকে নিয়ে আগামী মাসেই শুরু হতে চলেছে শৌখিন পোশাক তৈরির প্রশিক্ষণ। অভিষেক বলেন, ‘‘ডিজাইনার জ্যাকেট, জহর কোট এবং টি শার্ট বানাবেন বন্দিরা। তন্তুজ ও বিশ্ব বাংলার হাটে সেগুলো বিক্রি হবে। আমি কারা কর্তৃপক্ষকে বলেছি, মুক্তি পাওয়ার পরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বন্দিদের আমার সংস্থায় নিয়ে নেব।’’
পোশাক বিক্রির আয় থেকে অর্ধেক যাবে কারাকর্মীদের উন্নয়ন তহবিলে। বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে এমনই চুক্তি করেছে কারা দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy