প্রতীকী ছবি।
আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তানধারণের জন্য ১০০ শতাংশ সাফল্যের প্রতিশ্রুতি দিলেও শেষমেশ গর্ভপাত করাতে হল এক মহিলাকে। এই অভিযোগে এক আইফিএফ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য কমিশনের দ্বারস্থ হলেন এক দম্পতি। ওই দম্পতির এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ডিরেক্টর অব হেল্থ সার্ভিসেস-কে এক উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য কমিশন।
দম্পতির অভিযোগ, সারোগেসির মাধ্যমে সন্তানের ১০০ শতাংশ নিশ্চয়তা দিয়েছিল একটি আইভিএফ ক্লিনিক। তবে গর্ভস্থ সন্তানের সমস্যা থাকায় গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেন দম্পতি। গোটা ঘটনায় লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছে বলে দাবি তাঁদের।
কমিশন সূত্রে খবর, কর্মজীবন থেকে অবসরের পর ৪৩ বছরের স্ত্রীর আইভিএফ অথবা ‘ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন’ পদ্ধতির মাধ্যমে সন্তানধারণের জন্য একটি ক্লিনিকে গিয়েছিলেন ৬১ বছরের ব্যক্তি। তাঁর বক্তব্য, স্ত্রী উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। বুধবার স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে সন্তানধারণ করতে চান না বলে জানালেও ওই ক্লিনিকের মালিক দম্পতিকে এ নিয়ে নিশ্চিত থাকার আশ্বাস দেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয় বলে দাবি। পাশাপাশি, আরও টাকা খরচ করতে হয় বলেও দম্পতির দাবি। তবে তা সত্ত্বেও স্ত্রীর রক্তচাপজনিত সমস্যা থাকায় সারোগেসির মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। ১৪ সপ্তাহে পরীক্ষা করে জানা যায় যে গর্ভস্থ সন্তানের শারীরিক সমস্যা রয়েছে। তাই গর্ভপাত করান তিনি।
দম্পতির দাবি, আইভিএফ পদ্ধতিতে ১০০ শতাংশ সন্তানধারণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ক্লিনিকটি। সে কারণেই অবসরের পরেও লক্ষাধিক টাকা খরচ করেন তাঁরা। অভিযোগকারী সে টাকা ফেরত চান বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান। এই বিষয়টি জটিল এবং অভিযোগটিও গুরুতর বলে মনে করেন চেয়ারম্যান। তাঁর মতে, এই ব্যবস্থায় বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন। তাই ডিরেক্টর অব হেল্থ সার্ভিসেস-কে একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে অভিযোগ খতিয়ে দেখা উচিত বলে জানান তিনি। তবে ওই ক্নিনিকের চিকিৎসক ‘মানবিকতার খাতিরে’ ইতিমধ্যেই ৭০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy