রাজ্যপাল মুক্তির সুপারিশ করার পরে পাঁচ মাসেও ছাড়া পাননি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি। খুনের মামলায় দণ্ডিত ওই বন্দিকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া।
পাইকপাড়া এলাকার বাসিন্দা, পাঁচুগোপাল দাস নামে ওই বন্দি ২০ বছর ধরে জেলে রয়েছেন। রাজ্যপাল থাকাকালীন এম কে নারায়ণন চলতি বছরের মার্চেই তাঁকে মুক্তি দেওয়ার সুপারিশ করেছিলেন রাজ্য সরকারের কাছে। কিন্তু রাজ্য সরকার এত দিনেও রাজ্যপালের সেই সুপারিশ রূপায়ণ করেনি। ওই বন্দি তাই হাইকোর্টে মামলা করেন। এ দিন তাঁর সেই মামলার শুনানি ছিল।
ওই বন্দির আইনজীবী মনোজিৎ ভট্টাচার্য জানান, চিৎপুর থানা এলাকার একটি খুনের মামলায় ১৯৯৪ সালে গ্রেফতার করা হয় পাঁচুগোপালকে। ’৯৬ সালে নিম্ন আদালত তাঁকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। তার পর থেকেই তিনি জেলে আছেন। রাজ্যপাল চলতি বছরের ৫ মার্চ রাজ্যের বিভিন্ন জেলের ৪৪ জন বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেন। সেই তালিকায় পাঁচুগোপালের নামও ছিল। জেলে এক বন্দি মারা যান। চলতি বছরের ১৬ মে রাজ্য সরকার কিছু বন্দিকে মুক্তি দিলেও পাঁচুগোপাল মুক্তি পাননি। তিনি জুনে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে বলেন, সরকার রাজ্যপালের নির্দেশ রূপায়ণ করছে না। রাজ্য সরকারের আইনজীবী সেই সময় আদালতে জানান, ওই বন্দির বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের উল্লেখ করে আবেদনকারীর কৌঁসুলি মনোজিৎবাবু এ দিন আদালতে জানান, ওই বন্দি ইতিমধ্যেই ২০ বছর জেলে রয়েছেন। বাকি তিনটি মামলার সাজার মেয়াদ ২০ বছরের বেশি হতে পারে না। সেই কারণেও তাঁর মক্কেলকে মুক্তি দেওয়া যায়। তার পরেই বিচারপতি নির্দেশ দেন, ওই বন্দিকে এখনই মুক্তি দিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy