E-Paper

মনোজিৎ কাণ্ডে রাজ্যের ভূমিকায় প্রশ্ন কোর্টের

মনোজিতকে কসবা থানার দু’টি মামলায় ‘শোন অ্যারেস্ট’ (একটি মামলায় হেফাজতে থাকা অভিযুক্তকে আরেকটি মামলায় ধৃত হিসেবে দর্শানো) করা হয়েছিল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৫ ০৮:৪৫
কসবা ল কলেজ।

কসবা ল কলেজ। —ফাইল চিত্র।

সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণে মূল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অতীতেও নানা অভিযোগ শোনা গিয়েছে। তার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে রাজ্য প্রশাসনের গাফিলতির প্রশ্নও উঠেছিল। এ বার মনোজিৎ মিশ্রের দৌরাত্ম্য ঠেকাতে রাজ্যের ভূমিকা কী ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল খোদ আদালত। মঙ্গলবার আলিপুর কোর্টে এই মামলার শুনানিতে বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি বিভাস চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, ‘‘মনোজিতের বিরুদ্ধে গত কয়েক বছরে মোট ১২টি মামলা হয়েছে। সময় মতো পদক্ষেপ করা হলে, এই অপরাধ সংগঠিত হত না।’’ তা শুনেই বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘‘ওই মামলাগুলিতে রাজ্যের কী ভূমিকা ছিল?’’ এর অবশ্য সদুত্তর দিতে পারেননি বিভাস। তিনি শুধু বলেন, ‘‘রাজ্য বিষয়টি আইনগত ভাবেই দেখেছে।’’

এ দিন অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ দুই পড়ুয়া প্রমিত মুখোপাধ্যায়, জ়াইব আহমেদ এবং নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কে আলিপুরের অতিরিক্ত মুখ্য বিচার বিভাগীয় বিচারকের আদালতে পেশ করা হয়েছিল। মনোজিতকে কসবা থানার দু’টি মামলায় ‘শোন অ্যারেস্ট’ (একটি মামলায় হেফাজতে থাকা অভিযুক্তকে আরেকটি মামলায় ধৃত হিসেবে দর্শানো) করা হয়েছিল। পুলিশ ওই দু’টি মামলায় জেল হেফাজতের আর্জি জানালেও বিচারক মনোজিতের জামিন মঞ্জুর করেছেন।

এ দিন মনোজিতের আইনজীবী রাজু গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জেলে গিয়ে জেরার সময় অভিযুক্তকে দোষ স্বীকারের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।’’ জেলে জেরার সময় আইনজীবী হাজির থাকার আর্জি জানানো হচ্ছে। অভিযুক্তের সঙ্গে সংশোধনাগারে অন্তত দু'ঘণ্টা কথা বলার নির্দেশ দেওয়ার আর্জিও জানান তিনি। বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি বলেন, ‘‘সংশোধনাগারের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই অনুমতি নিতে হবে।’’ এ দিন প্রমিত ও জ়াইবের তরফে জামিনের আর্জি করা হয়নি। তবে নিরাপত্তারক্ষী পিনাকীর আইনজীবী দিব্যেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রক্ষীকে ঘরে বন্ধ করে ঘটনা ঘটানোহয়েছিল। তিনি গণধর্ষণে জড়িত নন। তাই অন্তত শর্তাধীন জামিন মঞ্জুরকরা হোক।’’

সরকারি আইনজীবী সৌরিন ঘোষাল বলেন, ‘‘বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে সিসি ক্যামেরার ছবির সঙ্গে অভিযুক্তদের হাঁটাচলা মিলিয়ে দেখার পরীক্ষা করার আবেদন করা হয়েছে। ওই প্রযুক্তির নাম 'গেট প্যাটার্ন'। আজ, বুধবার সংশোধনাগারে ওই পরীক্ষা করা হবে।’’ তাঁর দাবি, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে এবং হেফাজতে রেখে বিচার প্রক্রিয়া করা হবে বলে আদালতে জানানো হয়েছে। এ দিন শুনানি শেষে অভিযুক্তদের ৫ অগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

kasba

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy