Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
COVID-19

করোনা পরীক্ষায় ২ রকম রিপোর্ট, উত্তরপাড়ার বেসরকারি ল্যাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ

কোন রিপোর্টটি সঠিক সেটা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জানতে গেলে তারা বলে, এটি কলকাতার ল্যাব থেকে সিস্টেমের গণ্ডগোলের জন্য হয়েছে।

অভিযুক্ত ল্যাব

অভিযুক্ত ল্যাব নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
উত্তরপাড়া শেষ আপডেট: ১৯ মে ২০২১ ১৫:৫৭
Share: Save:

করোনা পরীক্ষার ২ রকম রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগ উঠল হুগলি জেলার উত্তরপাড়ার এক বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মহকুমা শাসকের কাছে।

সূত্রের খবর, গত ১৫ তারিখ হিন্দমোটরের বাসিন্দা ছবি দাসের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে উত্তরপাড়ার একটি বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার। পর দিন মহিলার স্বামী বিশ্বজিৎ দাসের মোবাইলে মেসেজ যায়, ‘রেজাল্ট নট ডিটেকটেড’। অর্থাৎ রিপোর্ট নেগেটিভ। অথচ পরীক্ষার ৩ দিন পর মঙ্গলবার রিপোর্টের যে হার্ডকপি দেওয়া হয় দেখা যায় তাতে লেখা, ‘রেজাল্ট ডিটেকটেড’ অর্থাৎ পজিটিভ।

একই নমুনায় ২ রকম রিপোর্ট পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায় ছবির পরিবার। কোন রিপোর্টটি সঠিক সেটা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে জানতে গেলে তারা বলে, এটি কলকাতার ল্যাব থেকে সিস্টেমের গন্ডগোলের জন্য হয়েছে। এই বিষয়ে উত্তরপাড়ার প্রাক্তন পুরপ্রধান দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘এমন ঘটনার কথা শুনেছি। একই লোকের যদি এক বার নেগেটিভ, এক বার পজিটিভ রিপোর্ট আসে, তা হলে খুব সমস্যার ব্যাপার। যাঁর পরীক্ষা হল তাঁকে যদি বলে দেওয়া হয় তিনি নেগেটিভ, তা হলে তো তিনি বাইরে বেরবেন, মেলামেশা করবেন, এতে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হবে। আর যদি বলে দেওয়া হয় পজিটিভ তা হলে তিনি ওষুধ খাবেন, তাতেও তাঁর ক্ষতির সম্ভাবনা। তাই বেসরকারি ল্যাবগুলোর আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।’’

ছবির পরিবারের তরফে বিষয়টি শ্রীরামপুরের মহকুমা শাসককে জানানো হয়েছে। এই প্রসঙ্গে শ্রীরামপুরের মহকুমা শাসক সম্রাট চক্রবর্তী বলেন, ‘‘একটা অভিযোগ পেয়েছি। জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে সব জানানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত হবে। ত্রুটি দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

report COVID-19 Swab Test
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE