গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
রাজ্যে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা সামান্য নিম্নমুখী হলেও তা ২ হাজারের কাছাকাছি হল। যদিও সংক্রমণের দৈনিক হার ১২ শতাংশের উপরেই রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গিয়েছেন ছ’জন কোভিড রোগী।
রবিবার সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন আরও ১,৮১৭ জন। যা শনিবারের বুলেটিনে প্রকাশিত নতুন আক্রান্তের সংখ্যা থেকে সামান্য কম। শনিবার এই সংখ্যাটি ছিল ১,৮৪৪। স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে, সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ২০,৮৫,৩৮৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০,৩৯,৭৪০। ফলে এই মুহূর্তে ২৪,৩২৯ আক্রান্ত চিকিৎসাধীন। তাঁদের মধ্যে ২৩,৮৯৭ জন গৃহ নিভৃতবাসে রয়েছেন। বাকিরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
চলন্ত গড় কী, এবং কেন এটি ব্যবহার করা হয়, তা লেখার শেষে উল্লেখ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর আরও জানিয়েছে, গত ২৩ ঘণ্টায় এ ছাড়া, ২,৭১,৪৫২ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, ১৪,৬৪৬ জনের কোভিড পরীক্ষা করানো হয়েছে। তার মধ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার ১২.৪১ শতাংশ। প্রসঙ্গত, প্রতি দিন যে সংখ্যক কোভিড টেস্ট করা হয়, তার মধ্যে যত শতাংশের রিপোর্ট পজিটিভ আসে, তাকেই ‘পজিটিভিটি রেট’ বা সংক্রমণের হার বলা হয়।
(চলন্ত গড় বা মুভিং অ্যাভারেজ কী: একটি নির্দিষ্ট দিনে পাঁচ দিনের চলন্ত গড় হল— সেই দিনের সংখ্যা, তার আগের দু’দিনের সংখ্যা এবং তার পরের দু’দিনের সংখ্যার গড়। উদাহরণ হিসেবে— দৈনিক নতুন করোনা সংক্রমণের লেখচিত্রে ১৪ জুনের তথ্য দেখা যেতে পারে। সে দিনের মুভিং অ্যাভারেজ ছিল ১৬০। কিন্তু সে দিন নতুন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা ছিল ১৩৫। তার আগের দু’দিন ছিল ১২৩ এবং ১৪৮। পরের দু’দিনের সংখ্যা ছিল ১৯৪ এবং ২২৯। ১২ থেকে ১৬ জুন, এই পাঁচ দিনের গড় হল ১৬০, যা ১৪ জুনের চলন্ত গড়। ঠিক একই ভাবে ১৫ জুনের চলন্ত গড় হল ১৩ থেকে ১৭ জুনের আক্রান্তের সংখ্যার গড়। পরিসংখ্যানবিদ্যায় দীর্ঘমেয়াদি গতিপথ সহজ ভাবে বোঝার জন্য এবং স্বল্পমেয়াদি বড় বিচ্যুতি এড়াতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy