Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Containment Zones

Kolkata Containment Zones: জেলায় জেলায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকা,উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়ার পর এ বার খড়্গপুরেও

এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গণ্ডিবদ্ধ এলাকা চিহ্নিত হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এই জেলায় ৫২টি এলাকাকে গণ্ডিবদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

রাজ্যে বাড়ছে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা। ফাইল চিত্র।

রাজ্যে বাড়ছে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২২ ১৫:৪১
Share: Save:

সম্প্রতি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বা়ডছে রাজ্যে। সংক্রমণ রুখতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গণ্ডিবদ্ধ এলাকার (কনটেনমেন্ট জোন) সংখ্যাও। সেই তালিকায় ক্রমশই জুড়ছে একের পর এক জেলা। মঙ্গলবার প্রাথমিক ভাবে হাওড়া এবং উত্তর ২৪ পরগনা— এই দুই জেলার বেশ কিছু এলাকা গণ্ডিবদ্ধ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সময়েই দুই জেলার গণ্ডিবদ্ধ এলাকার সংখ্যা হয়েছিল ১৫৯। সন্ধ্যায় সেই তালিকায় জুড়ে যায় মেদিনীপুর এবং খড়্গপুর শহরও। সেখানেও বেশ কয়েকটি এলাকাকে গণ্ডিবদ্ধ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
কোভিড সংক্রমণের নিরিখে রাজ্য সরকার গণ্ডিবদ্ধ এলাকার যে তালিকা প্রকাশ করেছে তার মধ্যে ২১টি বিধাননগর মহকুমার, বারাসতের দু’টি এবং ব্যারাকপুরের ১৮টি।

দক্ষিণ ২৪ পরগনায় মোট ৫২টি এলাকাকে গণ্ডিবদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। তার পরই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। মোট ৪১টি এলাকাকে গণ্ডিবদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ওই জেলায়। কলকাতায় ২৫টি এলাকাকে এই তালিকায় রাখা হয়েছে।

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

করোনা সংক্রমণ রুখতে খড়্গপুর এবং মেদিনীপুর পুরসভার কয়েকটি এলাকাকেও গণ্ডিবদ্ধ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দুই পুরসভার মোট ১৬টি ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি এলাকা গণ্ডিবদ্ধ এলাকা হিসাবে ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। মেদিনীপুর শহরের রাঙামাটি, নজরগঞ্জ, ধর্মা, শেখপুরা, বড়বাজার, নতুনবাজার, বটতলা, পটনাবাজার, মির্জাবাজার, তাঁতিগেড়িয়া এলাকাকে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা। আবার খড়্গপুর শহরের নিউ সেটলমেন্ট, রাজোগ্রাম, হিজল কো-অপারেটিভ সোসাইটি এলাকা, শরৎ পল্লি, আইআইটি ক্যাম্পাস লাগোয়া রবীন্দ্রপল্লিকে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই এলাকাগুলিতে অবশ্য জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। এই বিধিনিষেধ আগামী ৬ জানুয়ারি থেকে অবশ্য জারি থাকবে আগামী ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত।

মঙ্গলবার শালবনিতে করোনা হাসপাতাল পরিদর্শনে যান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবনচন্দ্র হাঁসদা। শালবনির ওই হাসপাতালটিতে আবার করোনার চিকিৎসা চালু হতে চলেছে। তা ছাড়া জেলায় সেফ হোমগুলিও প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক রশ্মি কোমল। করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন। নির্দেশ পেয়েই নিভৃতাবাসে থাকা আক্রান্তদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে জেলায়। প্রত্যেককে পাঁচ কিলোগ্রাম চাল, দুই কিলোগ্রাম ডাল, এক কিলোগ্রাম মুড়ি এবং পাঁচ প্যাকেট করে বিস্কুট দেওয়া হবে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।

রাজ্যে কোভিড সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত দেখেই সোমবার থেকে একগুচ্ছ বিধিনিষেধ জারি করেছে রাজ্য সরকার। রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত নৈশ কার্ফু ঘোষণা করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Containment Zones North 24 Parganas West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE