Advertisement
E-Paper

ফের নিট হবে? প্রশ্ন কোভিড আক্রান্তের

৪ সেপ্টেম্বর জ্বর আসায় করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন দুর্গাপুরের দুবচুরুরিয়া গ্রামের ওই পরীক্ষার্থী।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৫:০৮
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

বন্ধুরা, সহপাঠীরা রবিবার সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষা (নিট) দিলেন। তিনি পারলেন না। মন খারাপ করে বসে থাকতে হল বাড়িতেই।

৪ সেপ্টেম্বর জ্বর আসায় করোনা পরীক্ষা করিয়েছিলেন দুর্গাপুরের দুবচুরুরিয়া গ্রামের ওই পরীক্ষার্থী। রিপোর্ট আসে পজ়িটিভ। তিনি জানান, এখন তাঁর জ্বর নেই। শরীরে কোনও উপসর্গ নেই। তা সত্ত্বেও তিনি জানতেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে তাঁর পরীক্ষা দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর প্রশ্ন, তিনি বা তাঁর মতো যাঁরা করোনায় আক্রান্ত, তাঁরা কী করবেন? তাঁরা কি কোনও আইসোলেশন সেন্টারে বসেও পরীক্ষা দিতে পারবেন না? তাঁদের জন্য কি এই বছরেই পরে কোনও পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে? এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়ে নিট দিতে আগ্রহী করোনা-আক্রান্ত ওই ছাত্র মেল করেছিলেন নিটের আয়োজক কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির কাছে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টাতেও উত্তর আসেনি, জানালেন ওই পরীক্ষার্থী।

ওই পরীক্ষার্থীর বাবা ফোনে বললেন, ‘‘সকাল থেকেই ছেলের মন খারাপ। বালিশে মুখ গুঁজে শুয়ে আছে। সকালে জিজ্ঞেস করলাম, পড়তে বসবি না? উত্তরে ছেলের পাল্টা প্রশ্ন, ‘পড়তে বসে কী হবে? পরীক্ষাটাই তো দিতে পারলাম না।’ মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছে ও।’’

ওই পরীক্ষার্থী জানান, গত দু’দিন তাঁর জ্বর বা অন্য কোনও উপসর্গ নেই। যে-স্কুলে তাঁর সিট পড়েছিল, সেই ডিএভি মডেল স্কুলে ফোন করে ছাত্রটি জানতে চান, তিনি কী করবেন? পরীক্ষা কেন্দ্রের আইসোলেশন কক্ষে বসে তিনি পরীক্ষা দিতে পারবেন কি না? ‘‘ওই স্কুলের তরফে জানানো হয়, নিটের আয়োজক সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে মেল করতে হবে। সঙ্গে দিতে হবে নিটের অ্যাডমিট কার্ড এবং আমার কোভিড পজ়িটিভ রিপোর্ট। সেই অনুযায়ী শুক্রবার মেল করি ওই এজেন্সিতে। কিন্তু উত্তর পাইনি। তাই পরীক্ষাটা কবে দিতে পারব, আদৌ দিতে পারব কি না— কিছুই বুঝতে পারছি না,’’ ছাত্রটির গলায় গভীর হতাশা।

ওই পরীক্ষার্থীর রেলকর্মী বাবা জানান, তিনি শুনেছেন, যাঁরা করোনার জন্য নিট দিতে পারলেন না, তাঁদের জন্য ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি একটি নির্দিষ্ট তারিখে আবার পরীক্ষা নেবে। কিন্তু এই খবর ঠিক কি না, তা তাঁদের জানা নেই। তিনি জানান, তাঁর ছেলে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পরে কলেজে ভর্তি না-হয়ে নিট-কে পাখির চোখ করে প্রস্তুতি চালাচ্ছিল। দুর্গাপুরের একটি কোচিং সেন্টারে অনেক টাকা খরচ করে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। ‘‘পরীক্ষা দিতে না-পারায় আমার ছেলেকে প্রচণ্ড মানসিক যন্ত্রণা পোহাতে হল। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাটাই অনিশ্চিত হয়ে গেল। ওর মতো যারা পরীক্ষা দিতে পারল না, তাদের জন্য যত দ্রুত সম্ভব দিন ঠিক করে পরীক্ষা নেওয়া হোক,’’ দাবি তুলেছেন বাবা।

Coronavirus in West Bengal NEET
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy