ওই যুবককে নিয়ে চলতি পর্যায়ে এখনও পর্যন্ত বঙ্গে বিদেশ থেকে আসা তিন জনের মধ্যে করোনার অস্তিত্ব মিলল। প্রতীকী ছবি।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে কুয়ালা লামপুর থেকে করোনা নিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন এক বিদেশিনি। তিনি হোটেলে উঠলেও খুব তাড়াতাড়িই তাঁকে বেলেঘাটার আইডি হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বুধবার জার্মানির ফ্র্যাঙ্কফুর্ট থেকে করোনা নিয়ে সল্টলেকের বাড়িতে ফেরা এক যুবক এই ক’দিন ঘুরে বেড়িয়েছেন শহরময়। অনেক চেষ্টায় তাঁর খোঁজ মিললেও ইতিমধ্যে তাঁর থেকে কত জনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, তা নিয়ে উদ্বেগের সীমা নেই। ওই যুবককে নিয়ে চলতি পর্যায়ে এখনও পর্যন্ত বঙ্গে বিদেশ থেকে আসা তিন জনের মধ্যে করোনার অস্তিত্ব মিলল।
শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্য ভবনে খবর আসে, বিদেশ-ফেরত এক যুবকের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে দিল্লি বিমানবন্দরে। রিপোর্ট আসার আগেই কলকাতায় চলে এসেছেন ওই যুবক। ফোন নম্বরে ভুল থাকায় তাঁর খোঁজ পেতে সমস্যা হয়। পরে জানা যায়, ওই যুবক (২৬) বিধাননগরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। বাহ্যত তাঁর শরীরে ন্যূনতম উপসর্গও নেই।
স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার বাড়ি ফেরার পরে স্বাভাবিক ঘোরাফেরা করেছেন ওই যুবক। ফ্র্যাঙ্কফুর্ট থেকে ইংল্যান্ডের স্ট্র্যাটফোর্ড হয়ে বুধবার দিল্লি পৌঁছন তিনি। সেখানকার বিমানবন্দরে তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়ার পরে সেই তথ্য তোলা হয় আইসিএমআর পোর্টালে। পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দফতরকে বিষয়টি জানায় কেন্দ্র।
২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, “অতিকষ্টে যুবককে খুঁজে তাঁর স্বজনদের জানানো হয়েছে, যুবকের রিপোর্ট নেগেটিভ হওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁদের কেউ যেন বাড়ি থেকে না-বেরোন।” স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানান, যুবককে এক সপ্তাহ নিভৃতবাসে থাকতে বলা হয়েছে। গত রবিবার ব্যাঙ্কক-ফেরত এক যুবক করোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট আসার আগেই বিহারে বাড়িতে যান। সেই দিনেই অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা ৪৮ বছরের এক মহিলা কুয়ালা লামপুর থেকে করোনা নিয়ে কলকাতায় আসেন। বৃহস্পতিবার নেগেটিভ রিপোর্ট আসায় শুক্রবার আইডি থেকে ছুটি পেয়ে তিনি বুদ্ধগয়া যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy